তালিবান শাসনের জন্য তীব্র অনিশ্চয়তায় আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেট।
দেশে তালিবান শাসন শুরু হতেই মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া প্রধান হিকমত হাসানের কথায় পরিষ্কার হয়ে গেল। ফলে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২৫ জন মহিলা ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
দেশের একটি সংবাদ সংস্থাকে হিকমত বলেন, “যতদূর শুনেছি তালিবান ইসলামিক শরিয়ত আইন অনুসারে মহিলাদের সম্মান দেবে। তবে মহিলাদের ক্রিকেট নিয়ে তাদের ভাবনাচিন্তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। ২০ বছর আগে তালিবান যুগে মহিলাদের সুরক্ষা বিপন্ন হয়েছিল। লেখাপড়া ও চাকরি করার উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। এ বারও কি তালিবান একই মানসিকতা বজায় রাখবে? আমরাও জানতে আগ্রহী।”
তবে রশিদ খান,মহম্মদ নবির দেশে ফিরে ক্রিকেট খেলতে পারেন। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও শিবির আয়োজন করা হবে। এমনকি আইপিএল-এর আদলে আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ (শাপাগেজা টি-টোয়েন্টি লিগ) আয়োজন করতেও বাধা নেই। কিন্তু মহিলাদের ক্রিকেট কবে শুরু হবে,আদৌ শুরু করা যাবে কি না, সেটা নিয়ে আফগান বোর্ডের আধিকারিকদের এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ধারণা নেই।
২০১০ সালে আফগানিস্তানে মহিলা ক্রিকেট শুরু হলেও ২০১১ সালে প্রতিযোগিতা খেলার কথা ছিল। সেই বছর কাতারে আয়োজন করা হয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর মহিলা টি-টোয়েন্টি। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে নিজেদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল আফগানদের মহিলা দল। কারণ দেশের একাংশে তাদের ক্রিকেট নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে মহিলা দলকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল।
তবে সব বাধা ছাপিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রশিদ খানের দেশের মহিলা দলকে টেস্ট ও একদিনের ম্যাচ খেলার স্বীকৃতি দিয়েছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। কিন্তু দেশে ফের একবার তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে আবার মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy