সেরিনার ম্যাচের সেলিব্রিটি দর্শক বিয়ন্সে। ফ্লাশিং মেডোজে। -এএফপি
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের যবনিকা এ বার কোন নাটকীয়তায় নামবে সেটা আগামী সপ্তাহের ব্যাপার। আপাতত বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম আবর্তিত হচ্ছে টেনিস বহির্ভূত এক বিষয় ঘিরে!
আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের সদ্য তৈরি ছাদ ঘিরে!
চব্বিশ ঘণ্টা আগেই যে সেন্টার কোর্টে প্রথম ছাদ ঢাকা ম্যাচ খেলে জেতার ঐতিহাসিক নজির গড়েন রাফায়েল নাদাল। আর পরের দিনই মেয়েদের মধ্যে প্রথম সেই নজির গড়লেন ভিনাস উইলিয়ামস। রাফা নাদালের ম্যাচের মতো ভিনাসের ম্যাচেও নিউইয়র্কে বৃষ্টি নেমেছিল যে। উনিশ মরসুম আগে টিনএজে যিনি যুক্তরাষ্ট্র ওপেন আবির্ভাবেই ফাইনাল খেলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। সেই ভিনাস এখন ছত্রিশ। এটা তাঁর উনিশতম যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। গতকাল জার্মানির জুলিয়া জর্জেসকে ৬-২, ৬-৩ হারিয়ে তাঁর তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার মধ্যে কোনও তাৎপর্য নেই। আবার আছেও। কারণ, এই ম্যাচটার আগে যে ৭৭টা ম্যাচ ভিনাস খেলেছেন আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে, তার একটাও ঢাকা ছাদের নীচে খেলেননি। নিজের ৭৮ নম্বর ম্যাচটাই ভিনাসের জীবনের প্রথম ছাদ ঢাকা আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে খেলা। বিশ্বের বৃহত্তম যে টেনিস স্টেডিয়ামের আবার কিনা ১৯৯৭-এ ভিনাসের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন আবির্ভাবের বছরেই আত্মপ্রকাশ। কী অদ্ভুত সমাপতন!
ঘটনাটায় সাত গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ভিনাসও যথেষ্ট আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। ‘‘আমি যে এখনও এখানে খেলতে নামছি, জিতছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। একজন টেনিস প্লেয়ার হিসেবে আপনি তো এটাই চাইতে পারেন, তাই না?’’ বলেছেন তিনি। ভিনাসের ম্যাচের পরে আবার ছাদ ঢাকা আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিখ্যাত নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সঙ্গে! বিখ্যাত মার্কিন দৈনিক লিখেছে, ‘ভিনাসের ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামের ছাদে অঝোরে পড়া বৃষ্টির আওয়াজে মনে হচ্ছিল, নায়াগ্রা ফলসের ধারে টেনিস খেলা হচ্ছে!’
ভিনাসের বোনের দ্বিতীয় রাউন্ড ম্যাচ আবার মনে রাখতে হবে অন্য কারণে। রাতের সেশনে সেন্টার কোর্টেই সেরিনা উইলিয়ামসের সতীর্থ মার্কিন ভানিয়া কিঙ্গকে ৬-৩, ৬-৩ হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে ওঠা ভিভিআইপি বক্সে বসে দেখলেন সে দেশের জগদ্বিখ্যাত পপস্টার বিয়ন্সে। যার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত না সেরিনার খেলার ছবি, তার চেয়ে বেশি দর্শক বিয়ন্সের। যার প্রতিক্রিয়ায় স্টেফি গ্রাফের ওপেন যুগে সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম (২২) জেতার রেকর্ড এ বার ফ্লাশিং মেডোজে ভাঙার লক্ষ্যে নামা সেরিনার রসিকতা, ‘‘আমি মনে করি অন্য জগতের কিংবদন্তিরা আমার খেলা দেখলে আমি আরও ভাল খেলতে পারি!’’
উইলিয়ামস বোনেদের দিনে মার্কিন মুলুকের গ্র্যান্ড স্ল্যামে ব্রিটিশ টেনিসও দাগ রেখে গেল। এ বারের ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন দেশের তিন-তিন জন প্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে পুরুষ সিঙ্গলসের শেষ বত্রিশে। ৪৮ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা এই প্রথম! অ্যান্ডি মারে, কাইল এডমান্ডের পরে ড্যান ইভান্সও তৃতীয় রাউন্ডে উঠে নজির গড়েন। ইভান্স আবার দ্বিতীয় রাউন্ডে হারান প্রতিভাবান জার্মান টিনএজার, বাছাই প্লেয়ার আলেক্স জেরেভ-কে। চার সেটের লড়াইয়ে। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে এর আগে ১৯৬৮ সালে পল হাচিন্স, রজার টেলর ও পিটার কুর্তিস— তিন ব্রিটিশ পুরুষকে একসঙ্গে তৃতীয় রাউন্ডে দেখা গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy