Advertisement
E-Paper

ওয়ার্নারের নতুন ‘কীর্তি’ ফাঁস কুকের

ওয়ার্নার সম্পর্কে বল বিকৃতির অভিযোগ আগেও উঠেছে। এ বার যেটা সামনে নিয়ে এলেন স্বয়ং কুক।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:০২
বিদ্ধ: বল-বিকৃতি বিতর্ক তাড়া করে চলছে ওয়ার্নারকে। এএফপি

বিদ্ধ: বল-বিকৃতি বিতর্ক তাড়া করে চলছে ওয়ার্নারকে। এএফপি

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যে বাইশ গজে যে রকম লড়াই চলছে, প্রায় সে রকমই একটা লড়াই দেখা যাচ্ছে মাঠের বাইরেও। যেখানে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের উদ্দেশে ‘গোলাগুলি’ ছুড়ছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।

আগের দিন স্টিভ হার্মিসন বলেছিলেন, স্টিভ স্মিথ দুরন্ত খেললেও মানুষ ওঁকে প্রতারক হিসেবেই মনে রাখবে। মঙ্গলবার আবার খবরের শিরোনামে চলে এলেন অ্যালেস্টেয়ার কুক। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক তাঁর আত্মজীবনীতে দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় কুখ্যাত ‘সিরিশ কাগজ’ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার আগেও ডেভিড ওয়ার্নার বল বিকৃত করেছিলেন।

ওয়ার্নার সম্পর্কে বল বিকৃতির অভিযোগ আগেও উঠেছে। এ বার যেটা সামনে নিয়ে এলেন স্বয়ং কুক। ইংল্যান্ডের এক সংবাদপত্রে কুকের আত্মজীবনীর বিশেষ বিশেষ কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক লিখেছেন, ওয়ার্নার নিজে এসে বল বিকৃত করার কথা বলেছিলেন তাঁকে।

কী ঘটেছিল ওই সময়? ২০১৭-১৮ সালের অ্যাশেজ সিরিজের পরে দু’দলের ক্রিকেটাররা একদিন নিজেদের মধ্যে আড্ডা মারছিলেন। কুক লিখেছেন, ‘‘সেই আড্ডায় দুটো বিয়ার খাওয়ার পরে ওয়ার্নার একটা কথা বলে ফেলেছিল। বলেছিল, একটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচে হাতের টেপে ও এমন জিনিস লাগিয়ে রেখেছিল, যা ঘষলে বলের পালিশ তাড়াতাড়ি উঠে যায়। এও বলেছিল, ওটা দিয়ে ঘষে ঘষে বলের চেহারা বদলেও দিয়েছিল।’’

অস্ট্রেলীয় ওপেনারের এই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি শুনে কুকও নাকি অবাক হয়ে যান। ক্রিকেটারদের ওই আড্ডায় হাজির ছিলেন স্টিভ স্মিথও। কুক লিখেছেন, ‘‘ওয়ার্নারের কথা শুনে আমি স্মিথের দিকে তাকাই। দেখলাম, স্মিথ কড়া ভাবে তাকাচ্ছে ওয়ার্নারের দিকে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল, স্মিথ বলতে চাইছে, তুমি এ সব কথা কেন বলছ?’’

তা হলে কি কেপ টাউন টেস্টে ধরা পড়ার আগেও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা বল বিকৃতি ঘটিয়েছেন? বিশেষ করে সিরিশ কাগজের সাহায্যে? ওই সংবাদপত্রে কুক বলেছেন, ‘‘স্টুয়ার্ট ব্রড এটা নিয়ে ভাল একটা কথা বলেছিল। ব্রড বলেছিল, ‘অ্যাশেজ সিরিজে তো অস্ট্রেলিয়া দারুণ ভাবে রিভার্স সুইং করায়। তা হলে কেন অন্য রকম রাস্তা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ল? কেন হঠাৎ সিরিশ কাগজ ব্যবহার করার দরকার পড়ল?’ সবাই জানত, কী চলছে। তবে একটা দিকে ভালই হয়েছে। ওই সিরিশ কাগজ বিতর্কের পরে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা বুঝে যায়, ওরা যা করছে তা কেউ মেনে নেবে না। ‘যে কোনও মূল্যে জিততেই হবে’— অস্ট্রেলিয়ার ওই ক্রিকেট নীতি ওদের দেশের মানুষই মেনে নিতে পারেনি। ওরা বুঝে যায়, অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে।’’

অস্ট্রেলিয়া যতই অ্যাশেজ ধরে রাখুক, স্মিথ যতই ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকুন, একটা ব্যাপার পরিষ্কার। বল-বিকৃতি কাণ্ডের কলঙ্ক এত তাড়াতাড়ি মোছা যাবে না।

Cricket Ball Tampering Alastair Cook David Warner
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy