বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ফেলিক্স ফাইল চিত্র
অবসর ভেঙে ফিরে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে আমেরিকাকে ৪X৪০০ মিটার রিলে প্রতিযোগিতার ফাইনালে তুললেন অ্যালিসন ফেলিক্স। রবিবার প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলতে নামবেন তাঁরা।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আমেরিকার দলের হয়ে দৌড় শুরু করেন তালিথা ডিগস। তিনি ব্যাটন তুলে দেন ফেলিক্সের হাতে। ফেলিক্সের থেকে ব্যাটন পান কেইলিন হুইটনি। চার নম্বরে ছিলেন জেইড স্টেপ্টার বেইনেস। তিনি দৌড় শেষ করেন। ফেলিক্সের সঙ্গে দৌড়তে পেরে বাকি তিন দৌড়বিদ অভিভূত। তাঁরা আশা করছেন ফাইনালে একই রকমের ছন্দে থাকবেন ফেলিক্স।
পদকসংখ্যা এবং কৃতিত্বের বিচারে অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্যতম সফল ক্রীড়াবিদ ফেলিক্স। ১১টি অলিম্পিক্স পদক, ১৯টি চ্যাম্পিয়নশিপ পদক রয়েছে তাঁর। ২০০৪ সালে আথেন্স অলিম্পিক্সে ২০০ মিটারে রুপো জয় দিয়ে শুরু। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে মিক্সড রিলেতে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন গত শনিবার। এর পরেই অবসরের কথা জানিয়েছিলেন ফেলিক্স।
লস অ্যাঞ্জেলসে ফিরে যান তিনি। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁকে ফের ট্র্যাকে ফেরার অনুরোধ করা হয়। এক সংবাদ সংস্থাকে ফেলিক্স বলেন, “কোচরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল ফের নামব কি না। ওদের নাকচ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ফোন আসতেই নিজেকে ঘরবন্দি করি। রিলেতে নামার জন্য মনোযোগ বাড়াতে শুরু করি।”
শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও লড়াকু ফেলিক্স। ২০১৮ সালে তিনি সন্তানসম্ভবা থাকার সময় বেঁকে বসে তাঁর স্পনসর এক বিখ্যাত ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাঁর চুক্তি রাতারাতি ৭০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। যখন ফেলিক্স জানতে পারেন মাতৃত্বের সময় তাঁকে কোনও ভাবে সাহায্য করা হবে না, তখন অন্য লড়াই শুরু। ফেলিক্স একটি অলাভজনক সংস্থা তৈরি করেন, যাঁরা বিশ্বের সমস্ত ক্রীড়াবিদ, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফকে মাতৃত্বকালীন সাহায্য করবে। পাশাপাশি তৈরি করেন একটি কোম্পানি, যারা শুধু মহিলা ক্রীড়াবিদদের জন্য জুতো তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, এক মানবাধিকার সংগঠনের হয়ে আফ্রিকার রোয়ান্ডা, উগান্ডা এবং প্যালেস্টাইনের মতো দেশে গিয়ে সেখানকার তরুণদের খেলাধুলোয় উৎসাহিত করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy