Advertisement
E-Paper

‘বিরাট ধরে ফেলতে পারে সচিনকে’, বলছেন আজহার

মঙ্গলবার দুপুরে দমদম বিমানবন্দর থেকে বেরনো মাত্র ভিড় জমে গেল। সেলফির তোলার আবদার মেটাতে হল গাড়িতে ওঠার আগে। হোটেলে পৌঁছেও লবিতে একই অবস্থা। এ সবের মাঝেই আনন্দবাজার-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। মঙ্গলবার দুপুরে দমদম বিমানবন্দর থেকে বেরনো মাত্র ভিড় জমে গেল। সেলফির তোলার আবদার মেটাতে হল গাড়িতে ওঠার আগে। হোটেলে পৌঁছেও লবিতে একই অবস্থা

সুমিত ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৬
অতিথি: ডালমিয়া স্মারক বক্তৃতায় কপিলের সঙ্গে আজহার।

অতিথি: ডালমিয়া স্মারক বক্তৃতায় কপিলের সঙ্গে আজহার।

প্রশ্ন: কলকাতাকে আপনার কতটা মনে আছে পরীক্ষা নিই। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল যাওয়ার পথে যে কোনও একটা জায়গার নাম বলুন।

মহম্মদ আজহারউদ্দিন: (হাসতে হাসতে) উলটাডাঙা। ঠিক বললাম?

প্র: চলবে। আমরা যদিও উলটোডাঙা বলি। কিন্তু এটা আপনি কোথা থেকে জানলেন?

আজহার: কত বার কলকাতায় এসেছি। সেই খেলার দিন থেকে। কলকাতা আমার প্রিয় শহর, ইডেন আমার সবচেয়ে প্রিয় মাঠ। সব সময় যে এখানে রান করেছি। যখনই এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলের দিকে গিয়েছি, এই জায়গাটার নাম শুনেছি। তা ছাড়া রাজনীতিবিদ হিসেবে পার্টির কাজেও তো আমি কলকাতায় ঘুরে গিয়েছি কয়েক বার। গত বছর নির্বাচনের সময় হেলিকপ্টারে করে এসেছিলাম কলকাতায়।

প্র: ইডেনের সবচেয়ে সুখকর স্মৃতি কোনটা?

আজহার: অনেকই আছে। হিরো কাপ জয়টা দারুণ ছিল। আমি নিজে তো বরাবর এখানে রান পেয়েছি। টেস্টে পাঁচটা সেঞ্চুরি। তাই ইডেনের সেরা স্মৃতি বাছাটা খুব কঠিন। তবে হিরো কাপের আর একটা ঘটনা মনে আছে। ট্রফিটা এত বড় আর ভারী ছিল যে, ধরতে গিয়ে আমি কোমরে চোট পেয়ে গিয়েছিলাম। তার পরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে আমার একটা ম্যাচ ছিল। খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।

আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর ক্লাব ছাড়া নিয়ে জল্পনা

প্র: হিরো কাপের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল সচিন তেন্ডুলকরের করা শেষ ওভার।

আজহার: সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। এতদিন পরে সত্যি কথাটা বলতে আপত্তি নেই আমার। খুব একটা আশা ছিল না ম্যাচটা জেতার। শেষ ওভারটার আগে আমরা আলোচনা করছিলাম। শেষ ওভারে ওদের দরকার ছিল ৫ রান। আমার মনে হয়েছিল, যে কেউ বল করতে এলেই রানটা উঠে যাবে। তাই অন্য রকম কিছু চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। সেই ভাবনা থেকে সচিনকে বল দেওয়া। পরিষ্কার বলছি, ফাটকা খেলেছিলাম। সচিন বুদ্ধি করে বল করে জিতিয়ে দেয়। অ্যালান ডোনাল্ড তিনটে বলে রান নিতে পারেনি।

প্র: বিরাট কোহালির ৪৯টি সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। সচিন তেন্ডুলকরের ১০০ সেঞ্চুরিকে কি ধরতে পারবেন বিরাট?

আজহার: সম্ভব। আমি মনে করি বিরাটের পক্ষে সম্ভব। দু’টো জিনিস দেখে আমি ওর উপর বাজি ধরছি। ফিটনেস দুর্দান্ত আর ধারাবাহিকতা। সব ম্যাচেই যেন রান চাই ওর।

প্র: অনেকে কিন্তু বলেছেন, সচিনের রেকর্ড ভাঙা অসম্ভব।

আজহার: সেটা সব যুগেই শোনা যায়। সুনীল গাওস্করকে নিয়েও তো লোকে বলেছিল, ওঁর চৌত্রিশটা টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড কেউ কখনও ছুঁতে পারবে না। সেটা তো ভেঙে গিয়েছে। এই প্রজন্মে যেটাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে দেখাচ্ছে, সেটাই দেখা যায় পরবর্তী প্রজন্মে অনেকে ধরে ফেলছে। ক্রিকেট এগিয়ে চলেছে। রেকর্ডের ধরনটাও তাই পাল্টে যাবে।

প্র: বিরাটের ফিটনেস দেখে কি নিজের ক্রিকেট দিনের কথামনে পড়ে?

আজহার: দেখে ভাল তো লাগেই। আসলে ফিটনেস না থাকলে কোনও কিছুই করা সম্ভব নয় বলে আমি মনে করতাম। আমাদের সময়ে জিমে যাওয়ার রেওয়াজ অতটা ছিল না। মাঠেই যা করার করতে হতো। আমি বালির উপরে দৌড়তাম। আমার ফিটনেস ফর্মুলা ছিল স্প্রিন্ট টানা। প্রত্যেক দিন বেশ কয়েকটা স্প্রিন্ট টানতাম। আর খাওয়াদাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা খুব মেনে চলতাম।

প্র: ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন বিতর্ক ধোনিকে নিয়ে। লক্ষ্মণ আর আগরকর বলেছেন, ধোনিকে বসিয়ে দেওয়া উচিত টি-টোয়েন্টি থেকে।

আজহার: আগরকর? ধুর ধুর। বাদ দিন। ধোনিকে নিয়ে মন্তব্য করায় দেখেছেন, কীরকম গালাগাল খাচ্ছে।

প্র: আপনি কি মনে করেন, ধোনিকে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলানো উচিত? পারবেন ধোনি?

আজহার: এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে ধোনির উপর। ও নিজে কতটা পরিশ্রম করতে পারছে, কতটা ধকল নিতে পারছে। আমি একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। ধোনি নিজে কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে গিয়েছিল। সকলে তখন অবাক হয়ে গিয়েছিল। টেস্ট সিরিজের মাঝেই সরে গিয়েছিল ও। কাউকে এসে বলতে হয়নি। পারছে না দেখলে ও নিজেই ফের সরে দাঁড়াতে পারে।

Mohammad Azharuddin Virat Kohli Sachin Tendulkar Exclusive Interview Cricket
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy