উইম্বলডন রয়্যাল বক্সে হাজির অ্যান্ডি মারে। ছবি: গেটি ইমেজেস
ফ্রেড পেরির পরে আর কোনও ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখতে পারেননি। টানা দু’বার জিতে এ বার সেই কাজটা করতে চান তিনি। চোট এবং খারাপ ফর্মের জন্য উইম্বলডন শুরুর আগে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু শেষ ষোলোয় উঠে সে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর। সামনে দু’দিন বিশ্রাম। তার আগে কোর্ট এবং কোর্টের বাইরের জীবন নিয়ে সাক্ষাৎকার দিলেন অ্যান্ডি মারে।
প্রশ্ন: আপনি যদি অতীতে ফিরে যেতে পারতেন, তা হলে টেনিস জীবনের শুরুর দিকে কি অন্য কিছু করতেন?
মারে: আমি চেষ্টা করতাম, টেনিসকে আরও উপভোগ করতে। এখন মনে হয়, সেটাই করা উচিত ছিল। ২১ থেকে ২৪, ২৫ বছর— এই সময়টা আমার কাছে বেশ কঠিন ছিল। অতীতে ফিরতে পারলে টেনিস জীবনের শুরুটা আমি নিশ্চয়ই আরও বেশি করে উপভোগ করার চেষ্টা করতাম।
প্র: আবার আপনি বাবা হতে চলেছেন। পিতৃত্বের দায়িত্ব কী ভাবে আপনার টেনিস জীবনকে প্রভাবিত করেছে বা বদল এনেছে?
মারে: এই বছরটা আমাকে বাড়িতে বেশি সময় দিতে হয়েছে। বিভিন্ন সমস্যা ছিল, তার ওপর রোম এবং মাদ্রিদে আগেই হেরে যাওয়ায় কোর্টের চেয়ে বাড়িতেই ছিলাম বেশি। কোর্টে ভাল করতে না পারারও একটা ইতিবাচক দিক আছে। আমি বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পেরেছি। তবে আমি কিন্তু টেনিসের প্রতি ভীষণ ভাবে দায়বদ্ধ। তাই কোর্টে নেমে সেরাটা দিতে চাই। সে জন্য যদি গরমের দেশে বেশি সময় কাটাতে হয়, তা হলে কাটাতে হবে। আমরা টেনিসের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করি। আমাদের অনেক সমঝোতা করতে হয়। তার মাঝেই চেষ্টা করি, সব কিছু আগে থেকে ছকে নিতে। যাতে পরিবারের সঙ্গে যতটা বেশি সময় কাটানো যায়।
প্র: এই উইম্বলডনের শেষে আপনি এক নম্বর র্যাঙ্কিং হারাতে পারেন। এ ব্যাপারটা কি আপনাকে বাড়তি চাপে ফেলে দিচ্ছে?
মারে: হ্যাঁ, ব্যাপারটা ঘটতে পারে। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে যদি দেখা যায় র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম দিকের খেলোয়াড়রা রয়ে গিয়েছে। বা এমন কোনও ম্যাচ পড়ে গিয়েছে, যা র্যাঙ্কিংকে প্রভাবিত করছে। তবে আমি এখন কিন্তু সে সব নিয়ে একটুও ভাবছি না। আমার ফোকাসটা এখন র্যাঙ্কিংয়ের ওপর নয়। তবে হ্যাঁ, টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে যদি দেখা যায়, কোনও একটা ম্যাচ এমন পড়ে গিয়েছে, যা র্যাঙ্কিংকে প্রভাবিত করবে, তা হলে হয়তো ব্যাপারটা নিয়ে ভাবব। এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিং আমার মাথায় নেই।
প্র: উইম্বলডনে আপনার সাফল্যের বাইরে এমন কোনও ম্যাচ আছে যা আপনি ভোলেননি? সে সব যদি একটু বলেন।
মারে: যখন বড় হচ্ছি, টিম হেনম্যানের খেলা খুব দেখতাম। গোরান ইভানিসেভিচের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে যে ম্যাচটা টিম খেলেছিল, সেটা মনে আছে। অনেক ব্রিটিশ টেনিসপ্রেমীরই সেই ম্যাচটার কথা মনে আছে। সে সময় আমি ট্যুরে ছিলাম। তা ছাড়া ২০০৮ সালের সেই পাঁচ সেটের ফাইনাল, যেখানে রাফা নাদাল বনাম রজার ফেডেরার ম্যাচ হয়েছিল। দর্শক হিসেবে আমি ম্যাচটা দেখতে এসেছিলাম। এক জন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গ্যালারিতে বসে ম্যাচটা দেখেছিলাম।
প্র: এখনও কি সেন্টার কোর্টে নামার সময় নার্ভাস বোধ করেন?
মারে: হ্যাঁ। চাপ তো থাকেই। আসলে গোটা বছর জুড়ে আমরা যে সব টুর্নামেন্ট খেলি, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উইম্বলডন। এর ঐতিহ্যটাই অন্য রকম। তাই উইম্বলডনে নামার সময় যদি নার্ভাস বোধ না করি বা চাপ টের না পাই, তা হলে নিজের মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। সে রকম হলে আর খেলা চালিয়ে যাব কি না, তা নিয়েও ভাবতে হবে। কোর্টে নামার সময় তাই আমি নার্ভাস থাকতে চাই, চাপে থাকতে চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy