গোলের পরে আবুমেয়ংয়ের সমারসল্ট। রবিবার। ছবি: রয়টার্স
আর্সেনাল ৩ : স্টোক সিটি ০
চেলসি ১ : টটেনহ্যাম ৩
পনেরো মিনিটের আর্সেনাল ঝড়ে স্টোক সিটি উড়ে যাওয়ার রাতেই অন্ধকার নামল চেলসি শিবিরে! ২৮ বছর পরে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আন্তোনিও কন্তের দলকে হারিয়ে লন্ডন ডার্বি জিতল টটেনহ্যাম।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রবিবার ঘরের মাঠে অবনমন নিশ্চিত করে ফেলা স্টোক সিটি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ ছিল আর্সেনাল। সমর্থকদের কটাক্ষের শিকারও হন ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গার। কারণ, ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে সিএসকে মস্কো-র বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচের আগে কোনও ঝুঁকি নেবেন না বলে তিনি বিশ্রাম দিয়েছিলেন হেনরিক মাখতারিয়ান, লোঁহ কুসিয়েনি-কে।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়াল পিয়ের এমরিক আবুমেয়ং-এর নেতৃত্বে। ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন আবুমেয়ং। এর পরেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে জ্যাক উইলশায়ারের পরিবর্তে মাখতারিয়ান-কে নামান ওয়েঙ্গার। তবে ম্যাচের সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকল ৮৯ মিনিটে আবুমেয়ং-এর দ্বিতীয় গোলের পর সমারসল্ট।
আর্সেনাল তারকার কাছে এই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল আরও একটি কারণে। গত সপ্তাহে প্রয়াত হন আবুমেয়ং-এর দিদিমা মারিনা। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হেয়ার স্টাইল পরিবর্তন করে মাথায় মারিনা-র নাম লিখে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ম্যাচের পরে আবুমেয়ং বলেছেন, ‘‘গোল এবং জয় আমার সদ্য প্রয়াত দিদিমাকেই উৎসর্গ করছি।’’ ৯০ মিনিটে আর্সেনালের হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন আলেকজান্দ্রো লাকাজেত্তে। যদিও দুরন্ত জয়ের পরে ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমরা একেবারেই ছন্দে ছিলাম না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটা জিতেছে।’’ ওয়েঙ্গার অভিভূত আবুমেয়ং-কে নিয়েও। বলেছেন, ‘‘এক জন স্ট্রাইকার নিজে পেনাল্টি না মেরে সতীর্থকে এগিয়ে দিচ্ছে, ফুটবলে এই দৃশ্য বিরল। ফুটবলারদের এই ধরনের মানসিকতা দলের জন্য সব সময়ই ইতিবাচক।’’
ঠিক উল্টো ছবি দেখা গেল চেলসি বনাম টটেনহ্যাম হটস্পার ম্যাচে। ৩০ মিনিটে আলভারো মোরাতা গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন চেলসিকে। কিন্তু প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরান টটেনহ্যামের ক্রিস্টিয়ান এরিকসন। ৬২ ও ৬৬ মিনিটে গোল করেন দালে আলি। চোটের জন্য দুরন্ত ফর্মে থাকা
হ্যারি কেন খেলতে না পারলেও জিততে সমস্যা হয়নি টটেনহ্যামের। ম্যাচের সেরা হয়ে উচ্ছ্বসিত দালে বলেছেন, ‘‘অসাধারণ অনুভূতি। ভাল শুরু করলেও চেলসি-র সমীহ আদায় করতে পারিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’’ উচ্ছ্বসিত টটেনহ্যাম ম্যানেজার মউরিসিও পোচেত্তিনো বলেছেন, ‘‘২৮ বছর পরে আমরা চেলসিকে ওদের ঘরের মাঠে হারালাম। আমাদের সকলের কাছে স্মরণীয় মুহূর্ত।’’
আর হতাশ কন্তে বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচে ২-০ জেতা উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে এরিকসনের গোলের পরে আমরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy