Advertisement
E-Paper

চোটমুক্ত আকাশ, সেমিফাইনালের হিসাব কষছেন অরুণ

এ বছরই রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় আকাশের। সাতটি ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যে তাঁর ঝুলিতে ২৫টি উইকেট।

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৩
চোট সারিয়ে প্রথম একাদশে ফেরা প্রায় নিশ্চিত তরুণ পেসার আকাশ দীপের।—ফাইল চিত্র।

চোট সারিয়ে প্রথম একাদশে ফেরা প্রায় নিশ্চিত তরুণ পেসার আকাশ দীপের।—ফাইল চিত্র।

কুঁচকির চোট তাঁকে ছিটকে দিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। কিন্তু সেমিফাইনালে চোট সারিয়ে প্রথম একাদশে ফেরা প্রায় নিশ্চিত তরুণ পেসার আকাশ দীপের।

এত দিন দৌড়তে পারছিলেন না। রবিবার যন্ত্রণা অনেকটা কমে গিয়েছে তাঁর। সোমবার কটকের ড্রিমস ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই রানিং ও স্ট্রেচিং করিয়ে দেখে নেওয়া হবে আকাশকে। কলকাতায় ফিরে বাংলা অনুশীলন করবে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। সে দিন নেটে বল শুরু করবেন তরুণ পেসার।

এ বছরই রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় আকাশের। সাতটি ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যে তাঁর ঝুলিতে ২৫টি উইকেট। ইডেনের গতিময় পিচে কর্নাটকের বিরুদ্ধে যে কোনও মূল্যে তাঁকে দলে পেতে চান কোচ অরুণ লাল। বলছিলেন, ‘‘আকাশ আমাদের সম্পদ। ইডেনের গতিময় পিচে ওকে ছাড়া দল ভাবাই যায় না। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বলা যেতে পারে আকাশকে। কর্নাটকের বিরুদ্ধে ওকে প্রথম একাদশে ফেরাতেই হবে।’’

কিন্তু আকাশ এলে প্রথম একাদশ থেকে কাকে বাদ দেবেন? পরিবর্ত নীলকণ্ঠ দাস দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট নিয়ে সেমিফাইনালের রাস্তা তৈরি করতে বড় ভূমিকা নিেয়ছেন। অরুণ বলছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে দল সাজাতে সমস্যা হওয়া ইতিবাচক দিক। তবে দলের প্রত্যেককে খেলানো হচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয়তা বিচার করে। সেই সিদ্ধান্ত কেউ খারাপ ভাবে নিচ্ছে না।’’

কর্নাটকের বিরুদ্ধে ইডেনে আদৌ সবুজ উইকেটকে প্রাধান্য দেওয়া হয় কি না দেখার। বাংলা দলের কেউ কেউ বলছেন, ‘‘ব্যাটিং পিচ দিলেই ভাল। বিপক্ষ শিবিরে শক্তিশালী বোলার রয়েছে। পাঁচ দিনের ম্যাচে ঘাসে ভরা পিচ দেওয়া হলে সমস্যা হতে পারে।’’

কিন্তু অরুণ চান সবুজ উইকেট। সূত্রের খবর, শনিবারই তিনি নাকি সুজন মুখোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিয়েছেন, ঘাসে ভরা উইকেট চান। সুজন যদিও উইকেট তৈরি করার দায়িত্ব নিতে পারবেন না। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী নিরপেক্ষ কিউরেটর উইকেট করবেন।

কর্নাটকের বিরুদ্ধে কেন সবুজ উইকেট চান? কোচের উত্তর, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন থাকলে ভয় পাওয়া চলবে না। ইডেনে সবুজ পিচ থাকলে ওদের হারানোর সুযোগ থাকবে বেশি। কে এল রাহুল, মণীশ পাণ্ডেদের ব্যাটিং পিচ দিয়ে কাজ সহজ কেন করব? বরং সবুজ পিচে আকাশ, ঈশানদের নামিয়ে ওদেরও পাল্টা পরীক্ষায় ফেলব।’’

সেমিফাইনালে জম্মু ও কাশ্মীরকে পেলে কি বেশি খুশি হতেন? অরুণের উত্তর, ‘‘জীবনে কোনও শর্ট কাট হয় না। ফাঁকি দিয়ে সফল হওয়া যায় না। সেরা দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আত্মবিশ্বাস অন্য রকম হবে। সেই ছন্দই এক ধাপ এগিয়ে দেবে ট্রফির দিকে।’’

অরুণের কথায় স্পষ্ট, রঞ্জি জয়ের সুবাস ঢুকে পড়েছে বাংলা শিবিরে।

Cricket Bengal CAB Arun Lal Akash Deep
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy