প্রতিপক্ষ ভারত। তবু জয় নিয়ে খুব বেশি আশঙ্কা নেই বাংলাদেশে। সবারই আশা এ বারে তৃতীয় দফায় এশিয়া কাপ আর অধরা রইবে না। দুবাইয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গর্জন শুনবে সবাই।
ছুটির দিন আজ ঢাকায়। ইলিশের ভরা মরসুম। স্বাভাবিক নিয়মে দিনটি হওয়ার কথা ছিল দুপুরে ইলিশের একাধিক পদ কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে ছুটির দিনে ভাত-ঘুমের। কিন্তু আজ ছবিটা উল্টো। গণ-পরিবহন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, গুলশনের এলিট ড্রয়িংরুম থেকে কড়াইলের বস্তি, সর্বত্রই হিসেব চলছে কী করলে জয় আসবে, তা নিয়ে।
সবগুলো টেলিভিশন আর এফএম রেডিওতে সকাল থেকেই চলছে জল্পনাকল্পনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও টানটান উত্তেজনা। বিজয় মিছিলের স্বপ্ন চোখে নিয়ে প্রহর গুনছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ফাইনাল নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে সকাল থেকেই চলছে আলোচনা। বিশিষ্ট ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফত আনন্দবাজারকে বললেন, “ভারত এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। দু’বারের বিশ্বকাপ আর ছ’বারের এশিয়া কাপ জয়ী। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তার সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজ যদি ভারতের দিনটা খারাপ যায়, শিরোপা আমাদের ঘরে আসবে। তবে বাংলাদেশ যে খেলা দেখিয়েছে, তাতে আমি আশাবাদী যে শেষ হাসি আমরাই হাসব।"