চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতীয় দল। ছবি: সংগৃহিত।
ভারত ৩ (রুপিন্দর, আফান, নিক্কিন)
পাকিস্তান ২ (বিলাল, আলি)
ম্যাচ শেষে পুরো মাঠে ঘুরছিল ভারতীয় দল। তখন রিজার্ভ বেঞ্চে হতাশ পাকিস্তান। মাঠে দেখে নেওয়ার শপথ ছিলই। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। এই টুনামেন্টে দু’বার পাকিস্তানকে হারাল ভারত। যদিও পাকিস্তানকে হারানোর শপথ নেওয়া গোলকিপার অধিনায়ক শ্রীজেশ খেলতে পারেননি চোটের জন্য। তাতে কী তাঁর জায়গায় খেলতে নেমে বাজিমাত আকাশের। অলিম্পিক্সের পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে গুরুত্বপূণ ছিল এই টুর্নামেন্ট।
দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারকে ছাড়াই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে নামতে বাধ্য হয়েছে ভারত। যদিও শ্রীজেশের জায়গায় নেমে দুই ম্যাচে দারুণভাবে সফল ভারতীয় হকি দলের নবাগত গোলকিপার। সেমিফাইনালে তাঁর হাতেই আটকে গিয়েছে প্রতিপক্ষ। তাই ফাইনালেও তাঁর উপরই ভরসা রেখেছেন কোচ। ফাইনালে ভারতের সামনে যখন পাকিস্তান তখন ম্যাচের গুরুত্বও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রবিবার মালয়েশিয়ায় মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ।
প্রথম কোয়ার্টার (০-০)
প্রথম কোয়ার্টার শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ভাবেই। ১৬৭তম বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। চার মিনিটেই ফ্রি হিট পেয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সাত মিনিটেই ম্যাচের প্রথম পেনাল্টি কর্নার পেয়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন যশজিত সিংহ। পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নিয়েছিলেন বিরেন্দ্র লাকরা। ১৩ মিনিটেই পাকিস্তানের সামনে সুযোগ এসে গিয়েছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ পাকিস্তান। এর পর গ্রীন কাড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানের রশিদ মেহমুদকে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।
দ্বিতীয় কোয়ার্টার (২-১)
শুরুতেই প্রায় গোলের মুখ খুলেই ফেলেছিল পাকিস্তান। ১৭ মিনিটে আলির শট রুপিন্দরের গায়ে লেগে চলে যায় বাইরে। ঠিক পরের মিনিটেই আবার পেনা্ল্টি কর্নার পেয়ে যায় ভারত। না এ বার আর ভুল হয়নি। মাঠে ছিলেন স্পেশালিস্ট ড্র্যাগ ফ্লিকার রুপিন্দর পাল সিংহ। পেনাল্টি কর্নার থেকে ভারতকে এগিয়ে দেন রুপিন্দর। ২১ মিনিটে আবারও সুযোগ চলে এসেছিল ভারতের সামনে। নিক্কিন থিমাইয়ার সোলো দৌঁড় থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন তলবিন্দর সিংহ। কিন্তু অল্পের জন্য সেই গোল থেকে বঞ্চিত হয় ভারত।
২৩ মিনিটেই অবশ্য দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় ভারত। মাঝমাঠ থেকে রমনদীপকে লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন সর্দার সিংহ। সেই বল তলবিন্দরের স্টিকের হালকা টোকায় পেয়ে যান আফান ইউসুফ। সার্কেলের মধ্যেই বল পেয়ে চলতি বলেই শট নিয়েছিলেন আফান ইউসুফ। পাকিস্তান গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না। এর পর পেনাল্টি কর্নার থেকেই ব্যবধান কমায় পাকিস্তান। গো করেনআলেম বিলাল। তখন ২৬ মিনিট। ২৮ মিনিটে নিক্কিনের গোলমুখি শট আটকে দেয়।
হাফ টাইম
চতুর্থ কোয়ার্টার (৩-২)
২-২এ থেকে শেষ কোয়ার্টার খেলতে নেমেছিল দুই দল। কিন্তু শুরুতেই বাজিমাত ভারতের। নিক্কিন থিমাইয়ার ফিল্ড গোলে এগিয়ে গেল ভারত। ৫০ মিনিটে যশজিতের একটি এরিয়াল বল ধরে রমনদীপ পাস রেখেছিলেন নিক্কিন থিমাইয়াকে। এ বার আর আগের মতো ভুল করেননি নিক্কিন। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ স্থায়ী নাই হতে পারত। পরক্ষণেই সমতায় ফিরতে পারত পাকিস্তান। পরের মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগাতে ব্যর্থ পাকিস্তান।কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রাখতে সক্ষম হয় ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy