Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

যুবভারতীর ট্র্যাকে ফের অ্যাথলেটিক্স

যুবভারতীর ট্র্যাকে ফিরছে  অ্যাথলেটিক্স। পাঁচ বছর পর। বৃহস্পতিবার থেকে আন্তর্জাতিক মানের ট্র্যাকে হবে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। চলবে রবিবার পর্যন্ত।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৮ ০৬:০৬
Share: Save:

যুবভারতীর ট্র্যাকে ফিরছে অ্যাথলেটিক্স। পাঁচ বছর পর। বৃহস্পতিবার থেকে আন্তর্জাতিক মানের ট্র্যাকে হবে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। চলবে রবিবার পর্যন্ত।

কিন্তু এ রকম ট্র্যাক পেয়ে কি দেবশ্রী মজুমদার, হিমশ্রী রায়, লিলি দাশ, রাজশ্রী প্রসাদ, সফিকুল মণ্ডল, তিয়াসা সমাদ্দারদের পারফরম্যান্সের কোনও উন্নতি হবে? নতুন রেকর্ড তৈরি হবে? এশিয়াডে হেপ্টাথলনে রুপো জেতার অনন্য কৃতিত্ব যাঁর, সেই সোমা বিশ্বাস মনে করেন, ‘‘এটা বলা খুব কঠিন। কারণ যে ছেলে-মেয়েরা রাজ্য মিটে যোগ দেবে তারা তো গ্রামের কাদা মাঠ থেকে এসে সিন্থেটিক ট্র্যাকে নামবে। কতটা মানিয়ে নিতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তার উপর বৃষ্টি চলছে।’’

অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য যুবভারতীকে করা তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। দেশের সেরা ট্র্যাক বসানো হয়েছে। কিন্তু সেটা রাজ্যের অ্যাথলিটদের জন্য এখনও উন্মুক্ত নয়। তিনটে ডার্বি আর এটিকের ন’টি ফুটবল ম্যাচ ছাড়া মূল স্টেডিয়াম কার্যত বন্ধই থাকে সারা বছর। আই লিগের ডার্বি বাদে বাকি বেশিরভাগ ম্যাচ খরচের জন্য দুই প্রধান গত বছর নিয়ে গিয়েছে অন্য মাঠে। এ বারও তারা নিজেদের মাঠে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এত বড় স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ করতে রাজ্য সরকারের খরচ হয় লাখ লাখ টাকা। অথচ খেলোয়াড়দের কোনও লাভই হচ্ছে না। সোমা বলছিলেন, ‘‘বাংলার অ্যাথলেটিক্সের হাল খুবই খারাপ। সাই-ই বাঁচিয়ে রেখেছে খেলাটা। স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে না দিলে ছেলে-মেয়েদের উন্নতি হবে কী করে? ট্র্যাক থেকে লাভও বা কী? এখানে অনুশীলন করতে পারলে অ্যাথলিটরা উপকৃত হত।’’

বাংলার প্রাক্তন তারকা অ্যাথলিট সোমা সরব হলেও রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার কর্তারা এ নিয়ে এখনও নীরব। কোনও চেষ্টাই তাঁরা করেননি। অথচ বহু দিন পর এ বার রাজ্য মিটে স্বপ্না বর্মন এবং সনিয়া বৈশ্য ছাড়া প্রায় সব নামী অ্যাথলিট যোগ দিচ্ছেন। স্বপ্না এবং সনিয়া সুযোগ পেয়েছেন জাকার্তা এশিয়াডের ভারতীয় দলে। রয়েছেন জাতীয় শিবিরে।

সোমার পাশে বসে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে অ্যাথলেটিক্সের রাজ্য কর্তারা যা হিসাব দিলেন, তাতে ১৫৬টি ইভেন্টে ১১৩৮ জন প্রতিযোগী নামবেন এ বার। হ্যামার থ্রো ছাড়া সব ইভেন্ট হচ্ছে। সব চেয়ে বেশি প্রতিযোগী ইস্টবেঙ্গল এবং উত্তর ২৪ পরগনার। ১২২ জন করে। মোহনবাগানের ৩৯ জন অ্যাথলিট নামবেন। সব মিলিয়ে অফিস ক্লাব-সহ ৩৮টি দল অংশ নেবে। কিন্তু রাজ্য মিটে নেমে পদক জেতার পর যুবভারতীতে কি অনুশীলনের সুযোগ পাবেন বাংলার অ্যাথলিটরা? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও নেই।

স্থানীয় টেবল টেনিস: সিএলটি টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হয়ে গেল মঙ্গলবার। মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলেন সৌর্য্যা দাস, ঐষানি দাস, ঐষি হোড়, অস্মিতা ভট্টাচার্য ও অস্মিতা কুণ্ডু। ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলেন অভিনিবেশ দাস, রুদ্রনীল ভৌমিক, সমন্বয় দে, কণিষ্ক প্রামাণিক, অমৃত সেন ও আদিত্য রায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE