আটলেটিকো দে কলকাতার নতুন জার্সি হাতে কোচ মলিনা ও টিমের প্রধান কর্তা সঞ্জীব গোয়েন্কা। শুক্রবার । ছবি–উৎপল সরকার
প্রথম বার নেমেই চ্যাম্পিয়ন। পরের বার রানার্স। আইএসএলে আটলেটিকো দে কলকাতার নাম উঠলেই সেই ট্রেডমার্ক ‘সাদা শার্ট’— প্রাক্তন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের নাম ভেসে উঠবেই।
আইএসএল থ্রি-তে কলকাতার নবাগত কোচ জোসে ফ্রান্সিসকো মলিনা জিমেনেজের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়েই ভেসে উঠছেন তাঁর দেশোয়ালি হাবাস। দেপোর্তিভো লা করুনায় খেলার সময় অণ্ডকোষের ক্যান্সারকে হারিয়েছেন মলিনা। আটানব্বই বিশ্বকাপে বর্তমান বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকেদের স্পেন টিমে সামলেছেন অতিরিক্ত গোলকিপারের দায়িত্ব। কলকাতায় হাবাসের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধে কি জিতবেন? আপাতত এই প্রশ্ন সামনে রেখেই শুক্রবার সরকারি ভাবে আত্মপ্রকাশ করলেন এটিকের নতুন কোচ।
পারবেন? প্রশ্ন শুনে হাসেন ছ’ফুটের সুদর্শন প্রাক্তন কিপার। চাপের কথা স্বীকার করে বলে ওঠেন, ‘‘পেশাদার ফুটবলে এ রকম হয়। চাপ তো থাকবেই। সেটা নতুন কিছু নয়। আইএসএলে কলকাতা প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন। আশা করি এ বারও জিতব।’’
আটলেটিকো মাদ্রিদে দিয়েগো সিমিওনের একদা সতীর্থের কাছে অবশ্য কলকাতা নতুন নয়। বছর খানেক আগে হংকংয়ের কিটচি ক্লাবের কোচ হিসেবে যুবভারতীতে খেলে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। এ দিন সে প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘কলকাতাকে আইএসএলের সেরা টিম করতে চাই। আইএসএল টু দেখেছি। আটলেটিকোর কয়েক জন ফুটবলারকেও দেখেছি ইউটিউবে। মাদ্রিদের আবাসিক শিবিরে ওদের আরও ভাল করে বুঝে নিতে পারব।’’
হাবাস জমানায় আটলেটিকোর রণকৌশল ছিল আল্ট্রা-ডিফেন্সিভ। এ বার? প্রশ্ন করলে মুচকি হাসেন অর্ণব মণ্ডলদের নতুন কোচ। বলে দেন, ‘‘এখন কিছুই বলব না। অ্যাটাক আর ডিফেন্সের মধ্যে ব্যালান্স করেই প্রেসিং ফুটবল খেলতে পছন্দ করি।’’
প্রতি বছরের মতো এ বারও মাদ্রিদে বসবে ইয়ান হিউমদের আবাসিক শিবির। তিন সপ্তাহের শিবির শুরু ২২ অগস্ট। কলকাতা ফিরে যাতে মাঠের অভাবে ভুগতে না হয়, তার জন্য এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন সেরেই এটিকে কোচ ছুটলেন সেন্ট্রাল পার্কে। সূত্রের খবর, বিধাননগরের মাঠ খারাপ লাগেনি মলিনার। মাঠ দেখতে যাওয়ার আগে টিম মালিকত্রয়—সঞ্জীব গোয়েন্কা, হর্ষ নেওটিয়া এবং উৎসব পারেখের সঙ্গে টিমের নতুন জার্সিও উদ্বোধন করে যান হিউমদের কোচ।
তবে কলকাতার মার্কি দিয়েগো ফোরলান নিয়ে কিছু বলেননি মলিনা বা আটলেটিকো মালিকরা। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে আটলেটিকো ম্যাচ খেলতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে সঞ্জীব গোয়েন্কা বলে দেন, ‘‘এটা পুরোপুরি রাজ্য সরকার ও আইএসএল পরিচালন কমিটির ব্যাপার।’’ যদিও সূত্রের খবর, মলিনাকে নিয়েই এ দিন এ ব্যাপারে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। কারণ অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য নভেম্বরে স্টেডিয়াম পর্যবেক্ষণে আসবেন ফিফা প্রতিনিধিরা। তাই রাজ্য প্রশাসন যুবভারতী ব্যবহার করতে দিতে নারাজ। ফলে অন্য মাঠেরও খোঁজ খবর রাখছেন কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy