আইএসএলের শেষ দিকে তা হলে আমরা এসে পড়লাম। যেখানে পৌঁছনোটাকে দেখাচ্ছে প্রচণ্ড ঘাম ঝরানো একটা মরসুম। আমাদের এফসি গোয়া দল নিয়ে যা আশা করেছিলাম সেটা ঘটেনি ঠিকই। তবে টিমের ফুটবলারদের জন্য আরও একটা দুর্দান্ত আইএসএল অভিজ্ঞতা হল। কথাটা আমাদের দলের ভারতীয় আর বিদেশি, দু’ধরনের প্লেয়ারদের কথা ভেবেই লিখছি। আমরা লিগ টেবলের সবার নীচে শেষ করছি, কিন্তু শেষ ম্যাচে জিততে পারলে সেটা গোয়াকে পরের মরসুমের জন্য চাঙ্গা রাখবে।
আমাদের পথ চলা শেষ হয়ে গেলেও টুর্নামেন্টের অন্য কয়েকটা দল মরসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছে। মুম্বই সিটি একটা লম্বা বিশ্রাম পেয়েছে। আর পেয়ে টুর্নামেন্টের বিজনেস এন্ডে গর্জে ওঠার জন্য একেবারে তাজা থাকবে। মুম্বইয়ের প্রথম এগারো দারুণ শক্তিশালী বলে আমি মনে করি ওরা এ বার ট্রফির সত্যিকারের দাবিদার।
আর একটা চমৎকার টিম আটলেটিকো দে কলকাতা। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকেই ওরা আইএসএলের একটা ধারাবাহিক শক্তি। আর নিজেদের জন্য একটা পরিষ্কার পরিচয় তৈরি করেছে। কলকাতা দলের গভীরতা বিপক্ষের কাছে ভয়ের। প্রথম এগারো আবার ম্যাচ উইনারে ভর্তি। যাদের খেলা মাঠে একবার খেটে গেলে এটিকেকে হারানো সত্যিই ভীষণ কঠিন।
দিল্লি ডায়নামোসের খেলাটা আবার এক ধরনের খুব স্মার্ট টিমগেমের উদাহরণ। ওদের আক্রমণের বৈচিত্র সবচেয়ে বেশি। খেলার গতি পাল্টাতে ওরা দারুণ সক্ষম। আর মার্সেলিনহো একবার মাঠে সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে শুরু করে দিলে খেতাব জেতার ব্যাপারে দিল্লির উপরও দিব্যি বাজি ধরা যায়।
ট্রফির দাবিদারদের জন্য আর যে একটা জায়গা বাকি থাকল সেটা কেরল ব্লাস্টার্স অথবা নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। নর্থ ইস্ট লিগের শেষের দিকে পৌঁছে নতুন করে দৌড়চ্ছে। সাম্প্রতিক গোটাকয়েক জয় ওদের আত্মবিশ্বাসী অবস্থায় আগামী রবিবারের কার্যত কোয়ার্টার ফাইনালে কেরলের মুখোমুখি করবে। কেরলকেও এই মুহূর্তে বেশ ফর্মে দেখাচ্ছে। বিনীতের গোলগুলো ওদের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে। কেরল নক আউটে উঠলে কোচিতে অর্ধ লক্ষ সমর্থকে ঠাসা ঘরের মাঠে ওরা কিন্তু ভয়ঙ্কর টিম হয়ে উঠতে পারে।
সব মিলিয়ে এখনও এত টার্গেট থাকছে যে, লিগ পর্বের শেষটা রোমাঞ্চকর হবেই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy