খেলা। বিএস পার্ক মাঠে ছবিটি তুলেছেন প্রকাশ পাল।
সাতসকালেই মাঠজুড়ে গিজগিজে ভিড়। ছেলেদের হাত ধরে হাজির বাবা-মায়েরা। উপলক্ষ— অ্যাটলেটিকো দে কলকাতার (এটিকে) ট্রায়াল। খুদে ফুটবলারদের উপস্থিতির সংখ্যাটা ‘টার্গেট’ ছাপিয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। এটিকে কর্তারা অবশ্য কার্যত কাউকেই ফেরাননি। ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এটিকে-র ট্রায়াল নিয়ে সরগরম রইল বৈদ্যবাটির বিএস পার্ক মাঠ। অনূর্ধ্ব-১১, ১২, ১৩ এবং ১৪ বিভাগে ট্রায়াল নেওয়া হয়।
গত বছরেও বৈদ্যবাটির এই মাঠে ট্রায়াল নেওয়া হয়। সেখান থেকে সাত জন এটিকে এবং তিন জন রিলায়েন্সের কোচিং ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছিল। এ বারেও ফুটবলার বাছাইয়ের জন্য এই মাঠটিকেই বেছে নেন এটিকে কর্তারা। তাঁরা জানান, তাঁদের আশা ছিল শ’দু’য়েক ফুটবলার আসবে। বাস্তবে তা সাড়ে তিনশো ছাড়িয়ে যায়। শ্রীরামপুর মহকুমার পাশাপাশি জেলার অন্যত্র এবং অন্য জেলা থেকেও খুদে ফুটবলার এসেছিল ট্রায়ালে। শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি তাঁদের রিসিভিং, ড্রিবলিং পরখ করেন এটিকে-র কোচিং স্টাফেরা। অনেকের বল ধরা, পাস বাড়ানোর ধরন দেখে বেশ খুশিই মনে হল তাঁদের।
এটিকে-র সহকারী কোচ বাস্তব রায় বলেন, ‘‘দশ থেকে বারো বছরের ছেলেরা বেশি নজর কেড়েছে। কয়েক জনের মধ্যে রীতিমতো প্রতিভা রয়েছে। ফুটবলের ব্যাকরণ সম্পর্কেও তারা বেশ সড়গড়।’’ এটিকে কর্তা আশিস সরকার থেকে বিএস পার্কের কর্মকর্তা সৌমেন ঘোষও একই মত পোষণ করলেন। সৌমেনবাবুর কথায়, ‘‘এটিকে যে ভাবে এগিয়ে এসেছে, তাতে এখানকার ফুটবলের উন্নতি হবে। খেলার প্রতি ঝোঁক বাড়বে।’’
খুদে ফুটবলার এবং তাদের অভিভাবকদের আগ্রহ দেখে এটিকে-র কোচিং স্টাফেরা উচ্ছ্বসিত। তাঁরা জানান, এটিকে-র সাফল্যের কারণেই ফুটবলের জনপ্রিয়তা রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছে। গ্রামবাংলার বাবা-মায়েরা এগিয়ে এলে ফের এখান থেকে প্রচুর ফুটবলার উঠে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy