Advertisement
E-Paper

তিনশো করেও ইউনিসকে পাশে না পেয়ে মন খারাপ আজহারের

‘আমার দুই রোল মডেল।’ ইউনিস খান, মিসবা উল হকের সঙ্গে আজহার আলি। ইনজামাম উল হকের সেই তিনশোর ইনিংস দেখেছিলেন মাঠে পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে দাঁড়িয়ে। লাহৌরে, ২০০২-এ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৫৭
‘আমার দুই রোল মডেল।’ ইউনিস খান, মিসবা উল হকের সঙ্গে আজহার আলি।

‘আমার দুই রোল মডেল।’ ইউনিস খান, মিসবা উল হকের সঙ্গে আজহার আলি।

ইনজামাম উল হকের সেই তিনশোর ইনিংস দেখেছিলেন মাঠে পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে দাঁড়িয়ে। লাহৌরে, ২০০২-এ।

সাত বছর আগে ইউনিস খানের ট্রিপল সেঞ্চুরিও স্বচক্ষে দেখা তাঁর। এ বার নিজেই দেশের ট্রিপল সেঞ্চুরিয়নদের ক্লাবে নাম লিখিয়ে রীতিমতো রোমাঞ্চিত আজহার আলি। দুবাইয়ে এশিয়ার প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচে ৩০২-এর ইনিংস খেলে উঠে পাকিস্তানি তারকা ব্যাটসম্যান বললেন, ‘‘ইনিংসটা সারা জীবন মনে রাখব।’’

নিজেই জানালেন, ইনজামামের তিনশো দেখার অভিজ্ঞতার কথা। আজহার বলেন, ‘‘সে দিন পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে ছিলাম আমি। ইনজি ভাইয়ের সেই ট্রিপল সেঞ্চুরি নিজের চোখে দেখেছিলাম। আর এখন আমি নিজেই টেস্টে একটা তিনশোর ইনিংসের মালিক! এই অনুভুতিটা আমি মুখে বলে বোঝাতে পারব না। সারা জীবন মনে রাখার মতো ঘটনা এটা।’’ শুক্রবার আজহারের তিনশো পূর্ণ হওয়ার পরই দলের ৫৭৯-৩-এ ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন ক্যাপ্টেন মিসবা উল হক।

পাকিস্তানে টেস্ট ত্রিশতকের চতুর্থ মালিক আজহার। ইনজামাম, ইউনিস ছাড়াও ১৯৫৮-য় হানিফ মহম্মদ ৩৩৭ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।

করাচিতে ২০০৯-এ ইউনিস খানের ৩১৩-ও দেখেছিলেন আজহার। এই সাফল্যের দিনে তাঁর প্রিয় সতীর্থ পাশে নেই বলে কিছুটা হলেও মন খারাপ আজহারের। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ইউনিস এই টেস্টে খেলতে পারছেন না। আজহার বললেন, ‘‘ইউনিস ভাই বরাবরই আমার রোল মডেল। ও না থাকলে ড্রেসিংরুমে আমি সবসময় ওর সিটে বসি। এ বার সেই সিটের মান রাখতে পেরে ভাল লাগছে। কিন্তু এই সময় ওকে ড্রেসিংরুমে পাশে না পেয়ে খুব খারাপ লাগছে।’’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পর থেকেই আজহার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে এসেছেন। পাকিস্তানি ক্রিকেট মহলের ধারণা, ইউনিস, মিসবাদের পর তাঁদের শূন্যস্থান পূরণ করবেন লাহৌরজাত এই ব্যাটসম্যানই। ওয়ান ডে টিমে এমনিতেই তিনি মিসবার জায়গা নিয়েছেন। তিনিই ওয়ান ডে দলের ক্যাপ্টেন।

এশিয়ার প্রথম গোলাপি বলের টেস্টে তিনশোর ইনিংসটা আজহার উৎসর্গ করলেন তাঁর বাবা-মা ও তাঁর দেশের মানুষকে। বললেন, ‘‘যাঁরা সারা জীবন আমাকে গাইড করে গিয়েছেন, সেই বাবা-মা-কে এই ইনিংসটা অবশ্যই উৎসর্গ করব। দ্বিতীয়ত, দেশের মানুষকেও উৎসর্গ করলাম ইনিংসটা। সবাই খোলা মনে খেলা দেখুন আর আমরা ব্যর্থ হলে তাঁরা যেন রেগে না যান।’’

আর গোলাপি বল নিয়ে আজহার বলছেন, ‘‘গোলাপি বলে কোনও সমস্যা হয়নি আমার। ভালই দেখতে পাচ্ছিলাম এই বল। সে জন্যই তো ভাল একটা ইনিংস খেলতে পারলাম।’’

Azhar Ali Younis Khan triple century Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy