Advertisement
E-Paper

করোনা সন্দেহে ফ্ল্যাট থেকে বহিষ্কৃত, ত্রাতা ভাইচুং দিলেন আশ্রয়

ভাইচুং শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরে ১৫ এপ্রিল আথেনা নিজের ফ্ল্যাটে থাকার জন্য গিয়েছিল। কিন্তু বাড়ির মালিক ঢুকতে দেননি।’’ 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০৩:২৪
দায়িত্ব: শিলিগুড়িতে কিশোরীর পাশে দাঁড়ালেন ভাইচুং। ফাইল চিত্র

দায়িত্ব: শিলিগুড়িতে কিশোরীর পাশে দাঁড়ালেন ভাইচুং। ফাইল চিত্র

লকডাউনের সিকিমে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জন্য নিজের বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছেন তিনি। সেই ভাইচুং ভুটিয়া এ বার পাশে দাঁড়ালেন অষ্টাদশী আথেনা লিম্বুর লড়াইয়ে।

উত্তর সিকিমের ডিকচু থেকে শিলিগুড়ির এক কলসেন্টারে চাকরি করতে এসেছিলেন আথেনা। দুই বন্ধুর সঙ্গে একটি ফ্ল্যাট ভাড়াও নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন। শিলিগুড়িতেই আটকে পড়েন আথেনা। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা থাকায় বাড়ির মালিকের ধারণা হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আথেনা। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় অসুস্থ আথেনাকে।

এই খবর শোনার পরেই ভাইচুং তাঁর উদ্যোগেই তৈরি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে আথেনাকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি না-থাকায় পরের দিনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাইচুং ফেসবুকে জানিয়েছেন, করোনা না হয়ে থাকলেও বাড়ির মালিক আথেনাকে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেননি। ভাইচুং তখন শিলিগুড়ির একটি গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করেন আথেনার। ভাইচুং শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরে ১৫ এপ্রিল আথেনা নিজের ফ্ল্যাটে থাকার জন্য গিয়েছিল। কিন্তু বাড়ির মালিক ঢুকতে দেননি।’’

আথেনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘জ্বর হয়েছে শুনে আমাকে জোর করে দুপুর একটা নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে বার করে দিয়েছিলেন বাড়ির মালিক। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ফ্ল্যাটে গিয়েছিলাম জামা-কাপড় আনতে। তাও দরজা খোলেননি। ভাইচুং স্যর গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সাহায্যে জামা-কাপড় নিয়ে ফিরে যাই গেস্ট হাউসে।’’

ক্ষুব্ধ ভাইচুং প্রধান নগর থানায় অভিযোগ জানান বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। বললেন, ‘‘আশা করছি, পুলিশের সাহায্যে আথেনা নিজের ফ্ল্যাটে ফিরতে পারবে।’’ প্রধান নগর থানার আইসি বিশ্বজিৎ ঘোষাল ফোনে বললেন, ‘‘ভাইচুংয়ের অভিযোগ পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবারই আমরা বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। বাড়ি বন্ধ রয়েছে।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

Baichung Bhutia Coronavirus Football
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy