তৃপ্ত: প্যারিসে ব্যালন ডি’ওর নিয়ে সপরিবার মদ্রিচ। এএফপি
লিয়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর এক দশকের দাপট থামিয়ে শুধু ব্যালন ডি’ওরই নয়, সমর্থকদের মনও জিতলেন লুকা মদ্রিচ। সোমবার প্যারিসে ভারতীয় সময় গভীর রাতে ক্রোয়েশিয়ার তারকাকে নতুন ব্যালন ডি’ওর জয়ী ঘোষণা করা হয়। এ বছরে মদ্রিচ রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পাশাপাশি ক্রোয়েশিয়াকে প্রথম বার বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতেও মুখ্য ভূমিকা নেন।
মেয়েদের বর্ষসেরা নির্বাচিত হন নরওয়ের তারকা এডা হেজরবার্গ এবং সেরা অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে প্যারিসে এ রকম জমকালো অনুষ্ঠানে তারকাদের চাঁদের হাঁটের মধ্যেও বিতর্কের ছায়া লেগে থাকল। মেয়েদের বর্ষসেরা এডাকে পুরস্কার জেতার পরে অনুষ্ঠানের ফরাসি ডিজে মার্টিন সলভেইগ বিশেষ একটি নাচ জানেন কি না প্রশ্ন করেন। যাকে অনেকে ‘অশ্লীল নাচ’ বলেও মনে করেন। উত্তরে নরওয়ের তারকা বলেন ‘না’। ব্যাপারটা সেখানেই মেটেনি, উত্তর দেওয়ার সময় এডাকে যথেষ্ট বিরক্ত লাগছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এর পরেই ফরাসি ডিজের প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। ব্রিটিশ টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারেও প্রবল ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘‘খেলাধুলাতেও পুরুষ-প্রাধান্য থাকার আরও একটা উদাহরণ। যারা মনে করছে ঘটনাটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে, তাদের বলি মোটেও তা নয়। আমি সারা জীবন খেলাধুলোর জগতে কাটিয়েছি। ব্যাপারটা যে পর্যায়ে রয়েছে, ভাবা যায় না।’’ প্রবল বিতর্কের পরে সলভেইগ শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। তিনি টুইট করেন, ‘‘যদি আমি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি, তা হলে ক্ষমা চাইছি।’’ পরে তিনি এডার কাছেও ক্ষমা চান।
মদ্রিচ বলেন, তাঁর মতো এক জন সাধারণ মানুষও যে ব্যালন ডি’ওর জিততে পারেন সেটা দেখেই তিনি উচ্ছ্বসিত। ‘‘কথায় আছে, জীবনের যা কিছু সেরা তা সহজে আসে না। আমি কথাটা খুব বিশ্বাস করি। আমার জীবনেও খুব কঠোর পরিশ্রম করে আমাকে সব অর্জন করতে হয়েছে। ব্যালন ডি’ওর জেতাও সহজ ছিল না। কিন্তু সেটা পারলাম।’’ যোগ করছেন, ‘‘ইতিহাস বলবে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার একটা ছোট্ট দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে নেমে ব্যালন ডি’ওর জিতেছিল। তাও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিয়োনেল মেসিদের মতো ফুটবলারদের পরে। ওরা অন্য পর্যায়ের ফুটবলার। ওদের সঙ্গে তুলনা করার অধিকার কোনও
ফুটবলারের নেই।’’
তবে মদ্রিচ মনে করেন দুই মহাতারকা এর পরেও এই পুরস্কার জিততে পারেন। তিনি বলছেন, ‘‘রোনাল্ডো-মেসি ফুটবলের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়। ওদের পরে এ ভাবে এই পুরস্কার জিতে দারুণ লাগছে। তবে আমার কিন্তু এক সেকেন্ডের জন্যও মাথায় আসেনি যে, ওদের আর এই পুরস্কার সুযোগ নেই জেতার।’’ কোথায় রাখবেন নতুন ট্রফিটা? জানতে চাইলে মদ্রিচ বলেছেন, ‘‘আমার বেডরুমেই থাকবে প্রথম কয়েক দিন ট্রফিটা। ঠিক বিছানার পাশে। যাতে আমি ঘুম থেকে ওঠার পরেই ট্রফিটা দেখে বুঝতে পারি, স্বপ্ন নয় সত্যিই জিতেছি এটা।’’ তিনি ফাঁস করেন, জিদান রিয়ালের কোচ হয়ে আসার পরে বলেছিলেন, তাঁর ব্যালন ডি’ওর জেতার ক্ষমতা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy