গোটা দেশে এখনও ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের রেশ। ইংল্যান্ডকে হারানোর চব্বিশ ঘণ্টা পরে বাংলাদেশের কোচ ফাঁস করলেন, শেষ সেশনের আগে কী ভাবে তাতিয়েছিলেন টিমকে। যার জোরে ওই একটা সেশনে বিপক্ষের দশ-দশটা উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা।
রবিবার মিরপুরে তাঁর টিম যখন চা বিরতিতে যায়, ইংল্যান্ড তখন ২৭৩ তাড়া করতে নেমে ১০০-০। বাংলাদেশ কোচ চণ্ডিকা হাতুরুসিংঘে জানিয়েছেন, তখন নাকি তাঁর টিমের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে গিয়েছিল যে, আরও এক বার জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও বোধহয় জেতা যাবে না। কারণ আর কিছুই নয়, চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ঠিক তাই করেছিল বাংলাদেশ। শেষ দিন জিততে ৩৩ রান দরকার ছিল তাদের, কিন্তু তারা পারেনি।
চট্টগ্রামের আফসোস যে মিরপুরে সুদে-আসলে মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে, তাতে স্বভাবতই খুশি হাতুরুসিংঘে। গত দু’বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের চমকপ্রদ উত্থানের পিছনে প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাঁর টিম যে মিরপুরের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে, পিছিয়ে থেকেও ফিরে আসতে পেরেছে, তা নিয়ে খুশি কোচ। বিশেষ করে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান এবং তরুণ অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের প্রশংসা করছেন হাতুরুসিংঘে। তৃতীয় সেশনে যে দশটা উইকেট পড়েছিল, সেগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন সাকিব (৪) এবং মেহেদি (৬)। আর সহ-অধিনায়ক তামিম মাঠে সমানে সাহায্য করে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে।
‘‘আমি নিজেও প্রচণ্ড হতাশ আর দুঃখিত হয়ে পড়ছিলাম যে, আবার হাতে চলে আসা একটা সুযোগ নষ্ট করতে চলেছি। ছেলেদের সঙ্গে কথা বললাম। ওদের চ্যালেঞ্জ করলাম, এ বার উঠে দাঁড়াতেই হবে। বললাম যে, এই সুযোগ আর কোনও দিন আসবে না,’’ বলেছেন বাংলাদেশ কোচ। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘টিমটা এখনও শিখছে। ওদের অনেক দূর যেতে হবে। আশা করি এই জয়ের স্মৃতি ভবিষ্যতে ওদের সাহায্য করবে। পরেও এ রকম পরিস্থিতিতে পড়লে ওরা জয়ের জন্য ঝাঁপাবে।’’ বাংলাদেশের মোট টেস্ট জয় আট। তার মধ্যে হাতুরুসিংঘের কোচিংয়েই চারটে টেস্ট জিতেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy