Advertisement
E-Paper

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট কি না, মতান্তর বোর্ডে

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরাট কোহালি-রা কি খেলবেন? নাকি শশাঙ্ক মনোহরের আইসিসি-র বিরুদ্ধে মুনাফা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঝড় তুলে তাঁদের বোর্ড এই টুর্নামেন্ট বয়কট করবে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৬

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরাট কোহালি-রা কি খেলবেন? নাকি শশাঙ্ক মনোহরের আইসিসি-র বিরুদ্ধে মুনাফা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঝড় তুলে তাঁদের বোর্ড এই টুর্নামেন্ট বয়কট করবে?

আইপিএল চলার মধ্যেই নতুন এক থ্রিলারের মশলা জমছে এ নিয়ে। আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল দুবাইয়ে বোর্ড মিটিং রয়েছে আইসিসি-র। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে লভ্যাংশ নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের। শ্রীনিবাসন আইসিসি চেয়ারম্যান থাকাকালীন ভারতের জন্য সর্বোচ্চ ২১ শতাংশ লভ্যাংশ বরাদ্দ করার নতুন নিয়ম পাশ করিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতেরই শশাঙ্ক মনোহর গিয়ে সেই লভ্যাংশ কমিয়ে দিতে চাইছেন।

শেষ পাওয়া ইঙ্গিত অনুযায়ী, মনোহর মেনে নিতে রাজি হয়েছেন যে, ভারতই সবচেয়ে বেশি টাকা আনে ক্রিকেটে। সেই কারণে, বিরাট কোহালিদের বোর্ডের সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ প্রাপ্য। কিন্তু আগের মতো ২০ বা ২১ শতাংশ লভ্যাংশ মনোহর-পরিচালিত আইসিসি দিতে নারাজ। মেরেকেট ১৫ শতাংশ বরাদ্দ হতে পারে ভারতের জন্য।

শ্রীনি ভারতীয় বোর্ড রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে মনোহরের বিরুদ্ধে এ নিয়েই লড়বেন বলে ফের আইসিসি বৈঠকে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা বানচাল হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর নাম বাতিল করে দেওয়ায়। এর পরেই বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা বসে সব রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে। আদালতের রায়ে শ্রীনি সেই বৈঠকে না থাকতে পারলেও শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি টেলিফোনে যোগ দিয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। তখন একই রকম আগ্রাসী সুর চড়িয়ে তিনি সদস্যদের বলেন, লভ্যাংশ নিয়ে যুদ্ধং দেহি মনোভাব ধরে রাখা উচিত বোর্ডের।

যদিও বোর্ডের অভ্যন্তরে গরিষ্ঠ অংশের সমর্থন নেই শ্রীনির। সেই কারণে সভায় অনেকেই তাঁর বা তাঁর অনুগামীদের প্রস্তাবে সাড়া দেননি। শ্রীনি-অনুগামীরা বলতে থাকেন, ২১ শতাংশ লভ্যাংশ আইসিসি কমিয়ে দিতে চাইলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কটের হুমকি দেওয়া উচিত বোর্ডের। কিন্তু অন্য অনেক রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা পাল্টা মত দেন যে, আগে থেকেই ঝামেলায় না যাওয়া ভাল। এঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের দল ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে যে, খেলাকে বন্ধ করে কোনও লড়াই করা চলবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না খেলার পক্ষে নন পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের সেই মতামতকে খণ্ডন করলে সুপ্রিম কোর্ট সেটাকে কী চোখে দেখবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন এই সব সদস্যরা।

যেহেতু সভায় গরিষ্ঠতা ছিল না শ্রীনির, তিনি এই কর্তাদের পুরোপুরি থামাতে পারেননি। না হলে তাঁর অনুগামীদের দিয়ে লিখিত ভাবেই তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কটের রাস্তায় যাওয়ার ব্যাপার নথিবদ্ধ করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, আইসিসি বৈঠকে যাবেন দু’জন। বোর্ডের সচিব অমিতাভ চৌধুরী এবং সিইও রাহুল জোহরি। এর মধ্যে অমিতাভ বোর্ড মহলে এখনও ভীষণ ভাবেই শ্রীনি-অনুরাগী বলে পরিচিত। তিনি আইসিসি সভায় গিয়ে একেবারে চুপচাপ থাকবেন বলে ভাবা কঠিন। আবার প্রশ্ন উঠেছে, সদস্যরাই যেখানে তাঁকে লড়াই করার লাইসেন্স দেয়নি, অমিতাভ কত দূর কী করতে পারেন!

বোর্ডের সদস্যরা সভায় অমিতাভ এবং সিইও-কে বলেছেন, দুবাইয়ের এই বৈঠকে দেখে নেওয়া যাক আইসিসি লভ্যাংশ নিয়ে কী ভাবছে। সত্যিই কি কমিয়ে দেবে না একই রাখবে? তার পর না হয় ঠিক করা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কটের রাস্তায় যাওয়া যাবে কি না। কিন্তু এই নীতি সমালোচিত হচ্ছে বোর্ডের মধ্যেই। শ্রীনিকে পছন্দ না করা ব্যক্তিরাও অনেকে মনে করছেন, লভ্যাংশ এক রাখতে গেলে এখনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে অস্ত্র করে হুঙ্কার ছাড়া উচিত ছিল। না হলে দুবাইয়ের বৈঠকে পছন্দ মতো প্রস্তাব পাশ করিয়ে রাখবেন মনোহর। পরে জুনে অ্যানুয়াল কনফারেন্সে গিয়ে সেই প্রস্তাব উল্টে দেওয়া খুবই কঠিন হবে।

কারও কারও মনে হচ্ছে, শ্রীনিকে ধরব না ছাড়ব, এটা নিয়েই ধন্ধে রয়েছে বোর্ড। কখনও তাঁকে সমর্থন জানিয়ে টেলিকনফারেন্স করছে, কখনও দূরে রাখার কথা ভাবছে। ফাঁক তালে লভ্যাংশ না কমে যায়।

Cricket BCCI Champions Trophy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy