Advertisement
E-Paper

অ্যাশেজ়ে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের আগে সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি ইংরেজ অধিনায়ক স্টোকসের, সকলের আগে সাড়া অসি নেতা স্মিথের!

অ্যাশেজ় সিরিজ়ে লজ্জার হার হয়েছে ইংল্যান্ডের। রয়েছে চুনকামের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে মেলবোর্নে ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট খেলতে নামার আগে সমর্থকদের পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন বেন স্টোকস।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৪৭
cricket

স্টিভ স্মিথ (বাঁ দিকে) ও বেন স্টোকস। ছবি: এক্স।

অধিনায়ক জীবনে এর আগে এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তিনি জাননি, স্বীকার করে নিয়েছেন বেন স্টোকস। অ্যাশেজ় সিরিজ়ে লজ্জার হার হয়েছে ইংল্যান্ডের। রয়েছে চুনকামের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে মেলবোর্নে ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট খেলতে নামার আগে সমর্থকদের পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন স্টোকস। সমর্থকেরা কিছু না বললেও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ অবশ্য স্টোকসের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

শুক্রবার থেকে মেলবোর্নে শুরু ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট। যা পরিস্থিতি তাতে এই টেস্টেও ইংল্যান্ডের জেতার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞেরা। দলের খারাপ হালের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্টোকস। তিনি বলেন, “ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসাবে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বাকি সময়ে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াব, সেই কথা ভাবছি। জানি, অনেকে এর থেকেও কঠিন পরিস্থিতি থেকে মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরাও সেই চেষ্টা করব।”

ইংল্যান্ডের এই খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে সে দেশের সংবাদমাধ্যমেই চলছে তুমুল আলোচনা। প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা সমালোচনা করছেন। স্টোকসের মনে হচ্ছে, সমালোচনা না করে সকলের উচিত তাঁদের পাশে থাকা। তিনি বলেন, “সবকিছু নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হচ্ছে। সকলে ভুল ধরতে ব্যস্ত। আমার মনে হয়, সকলের উচিত আমাদের পাশে থাকা। যে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েনি সে বুঝতে পারবে না, সময়টা কতটা কঠিন। তাই সকলের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, পাশে থাকুন।”

স্টোকসের আর্জি নিয়ে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা এখনও কিছু বলেননি। কিন্তু মুখ খুলেছেন স্টিভ স্মিথ। প্যাট কামিন্স না খেলায় মেলবোর্নে অধিনায়কত্ব করবেন স্মিথ। প্রথম দুই টেস্টেও তিনিই অধিনায়কত্ব করেছিলেন। দলকে জিতিয়েছিলেন। অথচ, দক্ষিণ আফ্রিকায় স্যান্ডপেপারগেট কাণ্ডের পর এই স্মিথের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এক বছর নির্বাসিত করা হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণেই হয়তো স্টোকসের যন্ত্রণা বুঝতে পেরেছেন তিনি।

মেলবোর্ন টেস্টের আগের দিন স্মিথ বলেন, “যখন আপনি হারতে থাকেন, তখন সব নজর আপনাদের উপরেই থাকে। সমালোচনা চলে। ওদের কষ্টটা বুঝতে পারছি। ওদের পাশে আমি আছি। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে এসে প্রতিটা দলই টেস্টের মাঝে ঘুরতে যায়। বিশ্রাম নেয়। কিন্তু যে হেতু ওরা হারছে, তাই এটাকেও হারের কারণ হিসাবে ধরা হচ্ছে। এতে ওদের চাপ আরও বাড়ছে।”

এই পরিস্থিতি থেকে ফেরার পরামর্শও দিয়েছেন স্মিথ। তিনি জানিয়েছেন, কোনও কথা কানে ঢোকালে চলবে না। স্মিথ বলেন, “কখনও কখনও কান বন্ধ করে দিতে হয়। কোনও কথা কানে ঢোকালে চলবে না। নিজের মেজাজ ফুরফুরে রাখতে হবে। শান্ত থাকতে হবে। বেশি চাপ নিলে তার ফল আরও খারাপ হবে। আমি জানি, ওরা সেটা করারই চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না।”

গত ১৫ বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ়ে একটি টেস্টও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। কিন্তু অন্তত ড্র করেছে তারা। এ বার তিনটি টেস্টেই উড়ে গিয়েছেন স্টোকসেরা। যদি মেলবোর্নেও একই হাল হয়, তা হলে অধিনায়কের চাকরি নিয়ে টানাটানি হতে পারে। স্টোকস তা ভাল ভাবে জানেন। সেই কারণেই হয়তো চাপ ক্রমশ বাড়ছে তাঁর উপর।

The Ashes 2025-26 Steve Smith Ben Stokes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy