Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
দেওধরে নেই লক্ষ্মী

পরের প্রজন্ম বলে কিছু নেই, মনে হচ্ছে বাংলা নির্বাচকদের

রঞ্জি ট্রফিতে সম্ভাব্য তিন বদলের ইঙ্গিত। টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উষ্মা প্রকাশ। নির্বাচকদের ক্ষোভ উগরে দেওয়া। দেওধর ট্রফি থেকে অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লর সরে দাঁড়ানো। বিজয় হাজারে সেমিফাইনালে বঙ্গ বিপর্যয়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে উপরের চারটে ঘটনা ঘটে থাকল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৯
Share: Save:

রঞ্জি ট্রফিতে সম্ভাব্য তিন বদলের ইঙ্গিত।

টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উষ্মা প্রকাশ।

নির্বাচকদের ক্ষোভ উগরে দেওয়া।

দেওধর ট্রফি থেকে অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লর সরে দাঁড়ানো।

বিজয় হাজারে সেমিফাইনালে বঙ্গ বিপর্যয়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে উপরের চারটে ঘটনা ঘটে থাকল।

আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বাংলার রঞ্জি ট্রফি অভিযান। যা শুরু বরোদার বিরুদ্ধে, বরোদারই ঘরের মাঠে। শোনা গেল, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই নাকি রঞ্জি ট্রফির দল নির্বাচনী বৈঠক ডাকা হতে পারে। নির্বাচকদের কারও কারও সঙ্গে কথা বলার পর যা ইঙ্গিত, বিজয় হাজারের পারফরম্যান্সের পর তাঁরাও বুঝতে পারছেন যে জুনিয়রদের দিয়ে বিশেষ লাভ হবে না। তার চেয়ে বরং ভরসা করা ভাল পুরনোদের উপর, যারা বাংলা ক্রিকেটকে এত দিন টেনে এসেছে। বলা হচ্ছে, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যতিক্রম বাদ দিলে পরের প্রজন্ম বলেই কিছু নেই।

রঞ্জিতে তিনটে বদল হতে পারে। ওপেনিংয়ে ফেরানো হতে পারে রোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শ্রীবৎস গোস্বামীকে নামিয়ে আনা হতে পারে ঋদ্ধিমান সাহার জায়গায়। আর সায়নশেখর মণ্ডল সম্ভবত বাদ পড়বেন। তাঁর স্লটে খেলানো হতে পারে শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাংলার জার্সিতে প্রথম বছরেই তাঁর মনোভাব, চাপে কুঁকড়ে না যাওয়ার মানসিকতা মনে ধরেছে নির্বাচকদের। ঠিক তেমনই আবার বিজয় হাজারে সেমিফাইনালে মনোজ তিওয়ারির ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে কোনও কোনও নির্বাচক অখুশি। বক্তব্য হল, মনোজ ম্যাচ শেষ করে আসার যে অ্যাপ্রোচ নিয়েছিলেন সেটা ঠিক ছিল। কিন্তু মোতেরার উইকেটে অত স্লো খেলার কোনও যুক্তি ছিল না। শেষ পর্যন্ত টিমের তাতে ক্ষতিই হল, লাভ নয়। টিমের কোনও কোনও সিনিয়রের মনোভাবও খুব একটা পছন্দ হয়নি টিম ম্যানেজমেন্টের। টিমকে চাপে থাকতে দেখেও তাঁদের মনোভাবকে অনেকটাই ঢিলেঢালা মনে হয়েছে কারও কারও। তবে গোড়ালির চোটে লক্ষ্মী দেওধর থেকে সরে দাঁড়ানোয় বাংলার লাভই হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তাতে বিশ্রাম নিয়ে ভাল ভাবে রঞ্জিতে নামতে পারবেন লক্ষ্মী।

সিএবি যুগ্ম-সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তিনিও টিমের পারফরম্যান্স দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন। সোমবার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সৌরভ বলে দেন, “জয়ের এত কাছে থেকে হেরে ফেরাটা মানা যায় না। আর ঠিক তেমনই পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কোনও সিনিয়র, জুনিয়রও হয় না। পারফর্মারদের পারফরম্যান্সই শেষ কথা।” সঙ্গে আরও যোগ করেন, “আর দেখতে গেলে টিমে একমাত্র সুদীপ (চট্টোপাধ্যায়) ছাড়া কেউ জুনিয়র নয়। সবাই সিনিয়র।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE