ছন্দ আছে না হারিয়েছেন?
তিনি নাকি ক্লান্ত, তাই নাকি পারছেন না টানতে?
সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ড সফর যে তাঁর ‘খুব ভাল’ গিয়েছে, এমনটা বোধহয় মহম্মদ শামির অতি বড় সমর্থকও বলতে পারবেন না। ওয়ান ডে সিরিজে মন্দের ভাল। টেস্ট সিরিজে বাদই পড়ে গেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি ক্লান্ত। ভারতের হয়ে টানা খেলতে খেলতে। কেউ বলছেন, পরিশ্রম করছে না ঠিক মতো। খাটাখাটনি আরও বাড়াতে হবে টেস্ট টিমে জায়গা ধরে রাখতে গেলে। এমনকী তাঁর গুরু ওয়াসিম আক্রমের পর্যন্ত মনে হয়েছে, মহম্মদ শামি ছন্দ হারিয়েছেন। যদিও ওয়ান ডে সিরিজে সেটা আবার দ্রুত শামি ফিরে পেয়েছেন বলেও মনে হয়েছে আক্রমের।
মহম্মদ শামির তা হলে হয়েছিল কী?
মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে যখন ধরা গেল শহরের বাড়িতে, বিএমডব্লিউ নিয়ে সবে বেরোচ্ছেন। দীর্ঘ ফ্লাইট যাত্রার ধকল পুরো যায়নি। বোর্ডের ফতোয়ায় মিডিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা বলা বারণ। সাক্ষাৎকার দেওয়াও। কিন্তু ঘনিষ্ঠমহলে তো কথা বলতে অসুবিধে নেই। শোনা গেল, ইংল্যান্ড সফরের মাঝে নিজের ফর্ম নিয়ে চতুর্দিক থেকে প্রশ্ন ওঠায় বিরক্তই হয়েছিলেন শামি। ঘনিষ্ঠমহলে বলেও ফেলেছেন, ফর্ম সবার সব সময় এক রকম থাকে নাকি? ব্যাটসম্যানের ফর্ম পড়ে না? প্র্যাকটিস আমি আগের মতোই করছি। একই রকম খাটছি। ছন্দ হারিয়েছে, সেটাও নাকি মানতে চাননি। উল্টে বলে ফেলেছেন, ‘‘ওয়ান ডে-তে যে ছন্দে বল করেছি, টেস্টেও তাই। কখনওই সেটা হারিয়ে যায়নি।”
তবে ব্যক্তিগত ফর্ম নিয়ে প্রশ্নে বিরক্তি দেখালেও শামি নাকি এটা স্বীকার নিয়েছেন যে, লর্ডস টেস্ট জেতার পর টিম যে পরের তিনটে টেস্ট ও ভাবে হারবে, সেটা নাকি ভারতীয় টিমও ভেবে উঠতে পারেনি। লর্ডসের পর টিমের ক্রিকেটীয় দক্ষতায় আচমকা ‘পচন’ ধরেছিল বলে মনে হয় না তাঁর। মনে হয়, দুর্ভাগ্যই টিমকে ডুবিয়ে দিয়েছিল। টেস্ট সিরিজে ওই বিপর্যয়ের ব্যাখা নাকি শামি দিয়েছেন এ ভাবে উইকেটে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এক এক সময় তাঁর নিজের পিচ দেখে মনে হয়েছে উপমহাদেশীয় উইকেটের চেয়ে বেশি কিছু নয়। নটিংহ্যামের উইকেট যেমন তাঁর কাছে ভারতের উইকেটের চেয়েও স্লো লেগেছে। অতএব, উইকেট ঠিকই ছিল। লর্ডসে অনেক কঠিন উইকেটে টিম টেস্ট জিতেছিল। তার পর ওই পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা তাঁর নিজের কাছে যেমন নেই, টিমের কাছেও নাকি ছিল না। তবে তাতে দুঃখ পেলেও টেস্ট সিরিজ বিপর্যয়ের পরই টিম শপথ নেয় ওয়ান ডে-তে কামব্যাকের।
তা হলে? প্রথম বার ইংল্যান্ড সফর করে আসা মহম্মদ শামির পরবর্তী লক্ষ্য কী?
জানা গেল, আপাতত দিন কয়েকের বিশ্রাম। তার পর মিশন বিশ্বকাপে নেমে পড়া। বাংলা পেসারের মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বকাপ হলেও ইংল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা সেখানে প্রবল ভাবে কাজে দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy