ভিভিএস লক্ষ্মণের ক্র্যাশ কোর্স আর কেএসসিএ টুর্নামেন্টে হারানো। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি মহাগুরুত্বপূর্ণ অভিযানের আগে এই দু’টো ব্যাপার থেকেই বিশ্বাসের রসদ খুঁজছে বাংলা।
বাংলা শিবির মনে করছে, ভিভিএস লক্ষ্মণের স্পেশ্যাল ক্লাস মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সঞ্জীবনী মন্ত্রের কাজ করবে। গত কালের মতো সোমবারও বাংলার নেট সেশনে লক্ষ্মণ ছিলেন। শোনা গেল, ব্যাটসম্যান ধরে-ধরে তিনি টেকনিকাল ভুলত্রুটি শুধরে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পরে কখনও টিম, কখনও বা প্লেয়ারদের সঙ্গে আলাদা বসে তাঁদের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে পড়েন। পাশাপাশি মানসিক ভাবে বাংলা ক্রিকেটারদের তাতিয়ে রাখার কাজও সমান গুরুত্বের সঙ্গে চলেছে। লক্ষ্মণ বুঝিয়ে দেন, সেশন ধরে ধরে ম্যাচটাকে কী ভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হবে। চাপে পড়লে কী করতে হবে না হবে।
পরে নাগপুর থেকে ফোনে বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলছিলেন যে, ‘‘লক্ষ্মণভাইয়ের সঙ্গে গত দু’দিনের সেশনে খুব লাভ হল। গত কয়েকটা ম্যাচে আমাদের কী ভুলত্রুটি হয়েছে, উনি ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে সুবিধে হবে।’’ কাজ হওয়া প্রয়োজনও। গ্রুপ টেবলে বাংলা এখন ৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে। পরিস্থিতি যা, তাতে মুম্বইয়ের সঙ্গে হেরে গেলে রঞ্জি নকআউটে যাওয়ার রাস্তাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, গ্রুপ টেবলের অবস্থা ধরলে বাংলাকে শেষ তিনটে ম্যাচের একটা জিততে হবে, একটায় প্রথম ইনিংস লি়ড নিয়ে তিন পয়েন্ট তুলতে হবে। আর শেষ তিন ম্যাচের প্রথমটাই মুম্বইয়ের মতো কঠিন টিমের বিরুদ্ধে। পারবে বাংলা?
‘‘কেন নয়? এ বছরই কেএসসিএ টুর্নামেন্টে মুম্বইকে আমরা হারিয়েছি। আর মাঠে সেই ম্যাচটা ওদের বারবার মনে করিয়ে দেব,’’ রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন মনোজ। যা খবর, তাতে নাগপুর উইকেটও সবুজ হচ্ছে। কিন্তু বাংলা অধিনায়কের মনে হচ্ছে, ঘাস আছে বলে সেটা লাহলি হবে না। ‘‘হার্ড, বাউন্সি উইকেট। কিন্তু লাহলির মতো আর্দ্রতা নেই। টস গুরুত্বপূর্ণ হবে। তিন পেসারে যেতে পারি আমরা।’’ তবে বাংলা অধিনায়ক বলে রাখলেন যে, প্রথম এগারো চূড়ান্ত হবে মঙ্গলবার সকালেই। মুম্বইয়ের আট জন যে ডান হাতি ব্যাটসম্যান—সেটা ধরে চূড়ান্ত টিম হবে। তবে অভিষেক রমন হয়তো বাংলার হয়ে অভিষেক ঘটাতে যাচ্ছেন। আর আমির গনি গলার সংক্রমণ থেকে এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নন। আরও একটা দিক আছে ম্যাচের। বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে মুম্বইয়ের কোচিং ছেড়ে বাংলায় আসার পর মুম্বই ক্রিকেটমহলে প্রচুর সমালোচনা হয়েছিল সেটা নিয়ে। বাহুতুলে কিন্তু সুযোগ পাচ্ছেন একটা ‘বদলা’ নেওয়ার।
একেবারে রঞ্জিতে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy