রবার্ট লেওনডস্কি: সেরাদের কথা বললে সবার প্রথমে অবশ্যই আসবে বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকারের নাম। রবার্ট লেওনডস্কি ইতিমধ্যেই ১৫ গোল করে টপকে গেছেন মেসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক মরসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। সামনে এখন শুধুই ১৭ গোল করা রোনাল্ডো। ফাইনালে পিএসজির বিরুদ্ধে পারবেন তিনি সেই রেকর্ড ভাঙতে?
আরও পড়ুন: ইউরোপা লিগ জিতল বন্ধু, আবেগে ভাসলেন মোহনবাগানের আই লিগজয়ী কোচ
নেমার: করোনার জন্য থমকে যাওয়া টুর্নামেন্ট যেন শাপে বর হল ব্রাজিলের ওয়ান্ডার কিড-এর। চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে তিনি এখন আগুন ঝরাচ্ছেন। ছয় ম্যাচে তিনটি গোল, সঙ্গে চারটি গোলের পাস। ফ্রান্সের এমবাপেকে সঙ্গী করে তিনি বার বার বিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠছেন। ফাইনালে তাঁকে নিয়ে সতর্ক থাকতেই হবে বায়ার্ন ডিফেন্সকে।
আলফান্সো ডেভিস: প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই যেন বুঝিয়ে দিলেন তিনি বিশ্বফুটবলে নেহাত ‘বাচ্চা ছেলে’ নন। বায়ার্নের লেফট ব্যাক থেকে তাঁর দৌড় মাঝে মধ্যেই বিপক্ষের ঘুম উড়িয়ে দেয়। দলের রক্ষণে থেকে আক্রমণ তাঁর যেন সমান বিচরণ। ১৯ বছরের এই উঠতি তারকা এই মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের পাস বাড়িয়েছেন চারটি।
পিটার গুলাসি: দলকে ফাইনালে তুলতে না পারলেও লিপজিগের এই গোলকিপার মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে করেছেন ৩৪টি সেভ। সেমিফাইনালে নেমারদের রুখে দিতে পারলে ফাইনালে দেখা হতেই পারত দুই জার্মান ক্লাবের।
স্যাস নাব্রি: সেরাদের তালিকায় রাখতেই হবে বায়ার্নের এই উইঙ্গারকে। ৯ ম্যাচে ৯ গোল রয়েছে তাঁর। শেষ ষোলোয় চেলসি হোক বা কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনা, তিনি বল জড়িয়েছেন বহু বড় ক্লাবের জালে। সেমিফাইনালে লিঁয়র বিরুদ্ধেও রয়েছে তাঁর দু’টি গোল। ফাইনালেও গোল পেলে তা হবে এক দারুণ নজির।
ডেভিসের মতো নতুন নাম যেমন উঠে এসেছে, তেমনই এ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগে হতাশ করেছে অনেক বড় নাম। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচারে এ বারের লিগে তাঁরা ব্যর্থ। তাঁদের দিকে ভক্তরা ম্যাজিকের অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকলেও, নিজেদের সেই ভাবে মেলে ধরতে পারলেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: মেসি, রোনাল্ডোর সাম্রাজ্যে ভাগ বসাতেন লেওনডস্কি? কে পেতে পারতেন এ বারের ব্যালন ডি’অর