Advertisement
E-Paper

ত্রিভুজ আর মগজাস্ত্রে ম্যাজিক

দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আটলেটিকো দে কলকাতার দুর্দান্ত কামব্যাকের পঁাচ কারণ খুঁজলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যগত তিন ম্যাচে যা হয়নি বা হলেও অল্প সময়ের জন্য হয়েছে সেটা এ দিন দারুণ ভাবে হতে দেখলাম এটিকের খেলায়। জুয়েল-গাভিলান-সামিগের ঠিকঠাক কো-অর্ডিনেশন। অ্যাটাকিং থার্ডে হাবাসের মাঝমাঠের ওই ত্রিভুজ হিউমকে যেমন বল সাপ্লাই করল, তেমনই বিপক্ষের সনি নর্ডি আর আনেলকাকে মিডল করিডরে বলতে গেলে দাঁত ফোটাতে দেয়নি।

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:১৬

• মিডল থার্ডে শাসন

গত তিন ম্যাচে যা হয়নি বা হলেও অল্প সময়ের জন্য হয়েছে সেটা এ দিন দারুণ ভাবে হতে দেখলাম এটিকের খেলায়। জুয়েল-গাভিলান-সামিগের ঠিকঠাক কো-অর্ডিনেশন। অ্যাটাকিং থার্ডে হাবাসের মাঝমাঠের ওই ত্রিভুজ হিউমকে যেমন বল সাপ্লাই করল, তেমনই বিপক্ষের সনি নর্ডি আর আনেলকাকে মিডল করিডরে বলতে গেলে দাঁত ফোটাতে দেয়নি।

• বুদ্ধি করে গতি কমানো

মুম্বই দুই উইং দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে উঠে গোলের রাস্তা তৈরি করতে চাইছিল। বিপক্ষের ওই চাল মিনিট কুড়ির মধ্যে ধরে নেওয়ার পরেই বোরহার নেতৃত্বে এটিকে শুরু করেছিল পাসিং ফুটবল। বিপক্ষের মিডল থার্ডে গিয়ে কলকাতাকে এ দিন বেশ কয়েক বার একসঙ্গে তিন-চারটে কারেক্ট পাস খেলতে দেখলাম। এ ভাবেই সুনীলদের গতি কমিয়ে ম্যাচের রাশ আস্তে আস্তে নিজেদের হাতে নেয় হাবাসের ছেলেরা।

• হিউমের নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়া

প্রথম গোলটার সময় হিউম ওর পেরিফেরাল ভিশন কাজে লাগাল দুর্দান্ত ভাবে। বিদেশ বসুকে একটা সময় ময়দানে যেটা খুব ভাল করতে দেখা যেত। তা ছাড়া গোটা ম্যাচে এক বারও স্বার্থপর ফুটবল খেলেনি কলকাতা দলের এই কানাডিয়ান ফুটবলার। বিপক্ষের অ্যাটাকিং থার্ডে শাফলিং বলুন, কিংবা নিজেদের ডিফেন্সে নেমে এসে সেটাকে পোক্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করা। মুম্বই যখন পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেছে তখন আবার বল হোল্ড করে সময় আর বিপক্ষের ছন্দ, দু’টোই নষ্ট করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে এ দিনের ম্যাচের নায়ক হিউম।

• অমরিন্দরের দুর্দান্ত গোলকিপিং

গোটা টুর্নামেন্টেই দারুণ খেলছে এই তরুণ ভারতীয় গোলকিপার। এ দিন ওর দুর্দান্ত আউটিং কাজে লাগল কলকাতার। অমরিন্দর এ দিন তিনটে নিশ্চিত গোল না বাঁচালে কলকাতার জয়কে এত দাপুটে দেখাত না। একই সঙ্গে পিছন থেকে গোটা টিমকে দারুণ ভাবে চাগালও ছেলেটা।

• হাবাস-স্ট্র্যাটেজি

মাঠের মধ্যে মাঝেমধ্যে হয়তো শিশুসুলভ আচরণ করতে পারেন তিনি। কিন্তু আটলেটিকো কলকাতার স্প্যানিশ কোচের মাথাটা ক্ষুরধার। এ দিন যেমন লেফট ব্যাকে নবিকে এনে মুম্বইয়ের সুভাষ সিংহকে আটকে রাখলেন প্রায় সারাক্ষণ, তেমনই নাতোকে ব্যবহার করলেন দারুণ ভাবে। মুম্বই ডিফেন্সিভ থার্ডে সেকেন্ড বল ধরে যাতে পাল্টা আক্রমণ শানাতে না পারে তার জন্য লং বলের রাস্তাতেই গেলেন না হাবাস। কেউ এক-দু’বার লং বল খেললেও সাইডলাইন থেকে তাকে বকাঝকা করছিলেন। বিপক্ষ প্রথমার্ধেই তিনটে পরিবর্তন করে ফেলায় তার ফায়দাও তুললেন ম্যাচের শেষের দিকে নিজের দলকে নাগাড়ে আক্রমণাত্মক খেলিয়ে।

Atletico de Kolkata Mumbai City FC Biswajit Bhattacharya Comeback Isl
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy