দেড় বছর আগেই বিবাহবিচ্ছেদ, জল্পনার অবসান মেরির ঘোষণায়

মেরি কমের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল দেড় বছর আগে। বুধবার সেই ঘোষণা করলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী বক্সার। ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মেরি কমের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় কারুং ওঙ্খোলেরের। সে কথাই বিবৃতি দিয়ে জানালেন বক্সার।

কিছু দিন আগে জানা গিয়েছিল, ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার বেশ কিছু দিন হল স্বামী ওঙ্খোলেরের সঙ্গে থাকেন না। দূরত্ব বেড়েছে তাঁদের মধ্যে। তাঁদের যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তা তখন জানা যায়নি। সেই কারণেই মেরি কম নিজে ঘোষণা করলেন বিবাহবিচ্ছেদের কথা।

২০২২ সালে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ওঙ্খোলে। নির্বাচনে জিততে পারেননি। একই সঙ্গে তাঁর বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়। মূলত তা নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। চার সন্তানকে নিয়ে অলিম্পিক্স পদকজয়ী বক্সার এখন থাকেন ফরিদাবাদে। অন্য দিকে, ওঙ্খোলের তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিল্লিতে থাকেন।

শোনা যাচ্ছে, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন মেরি। নিজের ব্যবসায়িক সহযোগী এবং মেরি কম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিতেশ চৌধরি তাঁর নতুন প্রেমিক। হিতেশ আবার মেরির এক সতীর্থের স্বামী। মেরি এবং হিতেশকে কিছু দিন ধরে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। কিছু দিন আগে তাঁরা একসঙ্গে দুবাইয়েও গিয়েছিলেন। শোনা গিয়েছিল, হিতেশের সঙ্গে সম্পর্কও মেরির বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। মেরি যদিও জানিয়েছেন, তাঁর এবং হিতেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছাড়া অন্য কোনও ধরনের সম্পর্ক নেই।

২০০০ সালে মেরি এবং ওঙ্খোলের পরিচয় হয়। পরে প্রেম এবং ২০০৫ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। ওঙ্খোলের ছিলেন ফুটবলার। বক্সার মেরির সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকায় তিনি নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দেন। মেরি যাতে বক্সিংয়ে পুরো সময় দিতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য বিয়ের পর বাড়ির সব কাজ করলেন ওঙ্খোলের। সন্তানদের বড় করার দায়িত্বও তুলে নিয়েছিলেন নিজের ঘাড়ে। একাধিক সাক্ষাৎকারে মেরি তাঁর বিশ্বসেরা বক্সার হওয়ার নেপথ্যে ওঙ্খোলের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। ফলে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদে অবাক করেছে।