ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বোর্ডের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) নির্দেশ মানতে পারছে না সিএবি। তাই আগামী ১ অক্টোবরের আগে রাজ্য সংস্থার নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার হঠাৎ সিওএ ই-মেল মারফত সিএবি-কে জানিয়েছে, চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সংস্থার নির্বাচন শেষ করতে হবে। কিন্তু তার জন্য যে সময়সীমা প্রয়োজন, তা পাবে না সিএবি।
ইতিমধ্যে রাজ্য সংস্থার নতুন গঠনতন্ত্রকে অনুমোদন দিয়েছে সিওএ। সেই গঠনতন্ত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সোসাইটি রেজিস্ট্রারের কাছে নথিভুক্ত করার জন্য। সিএবি আশা করছে, শুক্রবারের মধ্যে তাদের নতুন গঠনতন্ত্র নথিভুক্ত হয়ে যাবে। তা হলে শনিবারের আগে নির্বাচনের নোটিস দেওয়া সম্ভব হবে না রাজ্য সংস্থার।
নোটিস বেরোনোর পর থেকে ২১ দিন সময় প্রয়োজন নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এমনিতেই ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লাগছে। কিন্তু ২৯ সেপ্টেবর রবিবার। সংস্থার ছুটির দিনে কখনও নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর অথবা মঙ্গলবার ১ অক্টোবরের আগে সিএবি কোনও ভাবেই বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করতে পারবে না।
সূত্রের খবর, সিওএ-র এই নির্দেশিকায় ভাল রকম চটেছেন সিএবি কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, সিএও নির্দেশিকা দিয়েই খালাস। কিন্তু কী ভাবে এই প্রক্রিয়া করা যেতে পারে সে ব্যাপারে কোনও ভাবনা-চিন্তা করে দেখা হচ্ছে না। নতুন যে গঠনতন্ত্র নথিভুক্ত হয়ে আসবে তা বণ্টন করতে হবে সংস্থার সদস্যদের মধ্যে। এমনকি কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, তার জন্যও আলাদা করে তালিকা গঠন করে সদস্যদের জানাতে হবে। তার জন্যও দিন-দুয়েক সময় লাগবে। নির্বাচন পদ্ধতি ঠিক করার জন্য নিয়োগ করতে হবে ইলেক্টোরাল অফিসার। সিএবি যদিও ইলেক্টোরাল অফিসার নিয়োগ করার কাজ আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই যা ঘোষণা করে দেওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক এগোলেও সিওএ যে সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে, তা কোনও ভাবেই মানতে পারবে না সিএবি। বুধবার জানা গিয়েছে, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সিওএ-কে সিএবি জানাবে, তাদের নির্দেশ মানা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy