পুরনো ছাত্রদের বিরুদ্ধে মহারণের আগে নাপোলি ম্যানেজার কার্লো অ্যাঞ্চেলোত্তির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার অ্যাঞ্চেলোত্তির নাপোলির লড়াই নেমার জুনিয়র-কিলিয়ান এমবাপের প্যারিস সাঁ জারমাঁ-র বিরুদ্ধে। যে চ্যালেঞ্জের আগে অ্যাঞ্চেলোত্তি বলেছেন, ‘‘আমার মতে রোনাল্ডো-মেসির সার্থক উত্তরসূরি হয়ে উঠতে পারে এমবাপে-নেমার। রোনাল্ডো-মেসির মতো ওরাও এক দিন বিশ্বের সমস্ত ট্রফি জিততে পারে।’’ পাশাপাশি তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘এমবাপে যদি এ বার ব্যালন ডি’অর নাও জিততে পারে, এক সময় জিতবেই। এ নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। নেমারও যত দিন যাচ্ছে বিপক্ষের জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।’’
চলতি দশকের শুরুতে তিন মরসুম প্যারিস সাঁ জারমাঁ-র ম্যানেজারের ছিলেন অ্যাঞ্চেলোত্তি। বর্তমান পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি বুফন ১৯৯৬-১৯৯৮ খেলতেন ইটালির ক্লাব পারমা-য়। তখন সেই দলের ম্যানেজার ছিলেন কার্লোই। পিএসজি-র বর্তমান ফুটবলার অ্যাঙ্খেল দি’মারিয়া যখন রিয়াল মাদ্রিদে তখন আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রিয়ালের ম্যানেজার ছিলেন কার্লো অ্যাঞ্চেলোত্তি। মঙ্গলবার রাতে সেই বুফন, দি’মারিয়া-সহ গোটা পিএসজি দলটাই যখন বর্তমান নাপোলি ম্যানেজার অ্যাঞ্চেলোত্তির বিপক্ষে থাকবে, তখন নেপলসের মাঠে কোনও আবেগ কাজ করবে কি? প্রশ্ন উঠতেই সাংবাদিক সম্মেলনে ইটালীয় দলটির ফুটবল ম্যানেজার বলে দেন, ‘‘নেমার-কাভানিদের বিরুদ্ধে পেশাদার ফুটবল কোচের আবেগ নয়, দরকার অঙ্ক। সে অঙ্ক তৈরি আছে।’’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেমার-এদিনসন কাভানি-কিলিয়ান এমবাপেদের বিরুদ্ধে প্যারিসে প্রথম পর্বের ম্যাচে দু’বার এগিয়ে গিয়েও ২-২ ড্র করে ফিরেছে নাপোলি। এ বার ঘরের মাঠে নেমারদের মুখোমুখি হওয়ার আগে নাপোলির বিখ্যাত ফুটবল ম্যানেজার বলছেন, ‘‘আমি জানি, এ বার কী করতে হবে।’’
এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ ‘সি’-তে তিন দলের মধ্যে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। তিন ম্যাচের পরে গায়ে গায়ে তিন দল। লিভারপুল (৬ পয়েন্ট), নাপোলি (৫ পয়েন্ট) ও প্যারিস সাঁ জারমাঁ (৪ পয়েন্ট)। ফলে মঙ্গলবার নাপোলি বনাম পিএসজি ম্যাচে যে দল হারবে, তাদের পরের ধাপে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। তাই জিততে মরিয়া দু’পক্ষই।
সেই তাগিদ মাথায় রেখেই পিএসজি-র তারকা ফুটবলার এদিনসন কাভানি বলছেন, ‘‘তিন মরসুমে নাপোলিতে খেলেছি। কিন্তু এ বারের ম্যাচটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের ধাপে যেতে হলে আমাদের জিততে হবেই।’’
যা শুনে অ্যাঞ্চেলোত্তি বলছেন, ‘‘পিএসজি-র আক্রমণ ভাগটা বেশ ধারালো। ইউরোপের অন্যতম সেরা দল পিএসজি। ওদের হারাতে গেলে আমাদের অসাধারণ কিছু করতে হবে। তবে আগের ম্যাচগুলোই দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে।’’