Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Sports News

রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দেখছে রিয়েল মাদ্রিদ

শুরুটা করেছিলেন ১০ মিনিটে। শেষ করলেন নিজের চেনা ছন্দেই। ৭৩ ও ৮৬ মিনিটে আরও দুটো। যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানেই শেষ করলেন তিনি।

হ্যাটট্রিকের উচ্ছ্বাস ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর। ছবি: এএফপি।

হ্যাটট্রিকের উচ্ছ্বাস ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ১৬:২২
Share: Save:

শুরুটা করেছিলেন ১০ মিনিটে। শেষ করলেন নিজের চেনা ছন্দেই। ৭৩ ও ৮৬ মিনিটে আরও দুটো। যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানেই শেষ করলেন তিনি।

আরও খবর: অর্জুন পুরস্কারের জন্য জেজে, গুরপ্রীতের নাম পাঠাল ফেডারেশন

তিনি রোনাল্ডো। সবটাই তুলে রাখেন বড় মঞ্চের জন্য। এ বার মঞ্চ করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালকে। তাও আবার সেটা যখন মাদ্রিদ ডার্বি তখন মাত্রাটাই আলাদা। ৩-০ গোলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনালের রাস্তা অনেকটাই তৈরি করে রাখলেন রোনাল্ডোরা। আর সেই ম্যাচ লেখা থাকল পুরোটাই ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর নামে। এই মরসুমে দ্বিতীয় ডার্বি হ্যাটট্রিক হয়ে গেল সিআর সেভেনের।

শূন্য ঝাঁপ। গোলের উচ্ছ্বাস রিয়েল শিবিরে।

১০ মিনিটেই নিজের পায়ের চমক দেখাতে শুরু করে দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। র‌্যামোসের ক্রস থেক স্টেফান সাভিসের হেড ক্লিয়ার হওয়ার বদলে কাসেমিরোর সামনে গিয়ে পড়ে। বক্সের ঠিক ডান দিকে। সেখান থেকেই কাসেমিরোর ভলি বাউন্স করে হেডে পেয়ে যান রোনাল্ডো। সেখান থেকেই ওবলাককে দাঁড় করিয়ে অ্যাটলেটিকোর জালে বল জড়ান হ্যাটট্রিক ম্যান। এর পর ছিল ব্যাক টু ব্যাক দুই গোলকিপারের কৃতিত্বের পরীক্ষা। ১৬ মিনিটে ভারানের নিশ্চিত গোলমুখি হেড আটকে দেন ওবলাক। ঠিক এক মিনিটের মধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে কোকের নিশ্চিত গোলের রাস্তা আটকে দেন নাভাস। ততক্ষণে প্রথম গোলের সঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১১টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন তিনি। তার সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধে যোগ হয় আরও দুই।

এভাবেও আটকানো যায়নি রোনাল্ডোকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দু’পক্ষই কেমন যেন মেপে খেলতে শুরু করে। যার ফল শুরুর দিকে আক্রমণের বহর প্রায় ছিলই না। আবারও আক্রমণের শুরু সেই রোলান্ডোর পায়েই। ৭৩ মিনিটে তাঁর ও ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। এদিন রোনাল্ডোর দৌড়াত্মে অবশ্য অন্য কাউকেই বিশেষ নজরে পড়েনি। যে কারণে ৭৭ মিনিটে করিম বেঞ্জেমাকে তুলে নামানো হয় লুকাস ভাজকুয়েজকে। ৮৬ মিনিটে হ্যাটট্রিকটি সেরে ফেলেন তিনি। বক্সের ডানদিক থেকে ড্রিবল করে রোনাল্ডোই ভাজকুয়েজকে পাস বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বক্সের মাঝখানে। গডিনকে কাটিয়ে ভাজকুয়েজের পাস ঠান্ডা মাথায় গোলে পাঠান পর্তুগিজ তারকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE