লেস্টার ম্যাচ চলাকালীন মোরিনহো। ছবি: এএফপি।
আর তিন পয়েন্ট পেলেই প্রিমিয়ার লিগ তাঁর। অগস্ট থেকেই শীর্ষে রাজত্ব করছে তাঁর দল। তাতেও বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ছে না। তিনি— হোসে মোরিনহো।
বুধবার রাতে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর দল চেলসি ৩-১ হারাল লেস্টার সিটি-কে। রবিবার ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারাতে পারলেই কেরিয়ারের তৃতীয় প্রিমিয়ার লিগ ক্যাবিনেটে তুলবেন ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’। তাতে কী? ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড জুড়ে রব উঠেছে, ‘‘বোরিং বোরিং চেলসি’’। সংবাদমাধ্যম হোক বা দেশের সমর্থক, সবাই মোরিনহোকে কাঠগরায় দাঁড় করিয়েছেন। অভিযোগ একটাই, পর্তুগিজ কোচের গড়া স্ট্র্যাটেজি নাকি ফুটবল ধ্বংস করে দিচ্ছে। মোরিনহোর গড়া স্ট্র্যাটেজি নাকি ঘুমপাড়ানি ফুটবল। যোগ্য দল হিসাবে জেতা উচিত নয় তাদের। যার পরেই দু’ভাগে ভাগ হয়েছে ব্রিটিশ ফুটবল। এক দিকে তাঁরা, যাঁরা মনে করছেন, মোরিনহোর ছক আধুনিক ফুটবলের বিরুদ্ধে। আর এক দিকে তাঁরা, যাঁদের মত সুন্দর ফুটবল খেলে হারার থেকে খারাপ খেলে জেতা ভাল।
লেস্টারের বিরুদ্ধে জিতলেও প্রথমার্ধে ০-১ পিছিয়ে পড়ে চেলসি। বিরতির পরে তিনটে শট টার্গেটে রেখে তিনটেতেই গোল পায় চেলসি। গোলদাতার তালিকায় ছিলেন দিদিয়ের দ্রোগবা, জন টেরি ও রামিরেজ। কিন্তু জিতলেও পরিসংখ্যানে ফের ধরা পড়ে গোটা ম্যাচে রক্ষণাত্মক খেলেই জিতেছে চেলসি।
ম্যাচের পরে তাই সাংবাদিক সম্মেলনে মোরিনহোর দিকে ধেয়ে আসে একটাই প্রশ্ন— ‘‘আপনার দল আজকেও খারাপ খেলে জিতল। বেশি আক্রমণ নেই। কয়েকটা মাত্র শট?’’ উত্তরে ট্রেডমার্ক ভঙ্গিতে মোরিনহোর পাল্টা, ‘‘খারাপ খেললে আমার দল টানা শীর্ষে বসে থাকত না। খারাপ তো আমাদের থেকে নীচে বসে থাকা বাকি উনিশটা দল খেলেছে।’’ এখানেই থেমে যাননি তিনি। সমালোচকদের একহাত নিয়ে মোরিনহো যোগ করেন, ‘‘আমার দল যে জায়গায় আছে সবাই সেখানে থাকতে চায়। গোটা মরসুম আমরা দাপট দেখিয়েছি। শুরুর থেকে প্রথমে আছি। খারাপ খেললে সেটা হত না।’’
প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি ফুটবলার গ্যারি নেভিলও একমত। বলছেন, ‘‘মোরিনহোর স্ট্র্যাটেজিকে যারা খারাপ বলছে তারা খেলা বোঝে না। আর্সেনাল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, লিভারপুল কেউ চেলসির মতো খেলতে পারেনি। ওরা যোগ্য দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে। ভাল খেলে হারলে কেউ মনে রাখে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy