বাংলা বনাম মুম্বই মানেই এখন ক্রিকেটের বড় ম্যাচ। শুক্রবার সেই ম্যাচই হতে চলেছে চিপকে। টানা তিনটে ম্যাচেই জিতে বাংলা যেখানে বিজয় হাজারে ট্রফির সি গ্রুপ শীর্ষে, দুটোতে জিতে দু’নম্বরে মুম্বই। এই ম্যাচ জিতলে তাই বাংলাকে ধরে ফেলবে মুম্বই। এ দিক থেকে যেমন শুক্রবার বাংলা এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে, তেমন মুম্বইও অন্য একটা ব্যাপারে এগিয়ে। চিপকের উইকেটে আদিত্য তারেদের একটা ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও বাংলার এখনও এই মাঠে নামা হয়নি।
পৃথ্বি শ, শ্রেয়শ আইয়ার, অভিষেক নায়ার, সূর্যকুমার যাদব, শার্দুল ঠাকুরদের বিরুদ্ধে নামার আগের দিন অবশ্য বাংলা শিবির এই নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। বরং মুম্বইকে টক্কর দিতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানালেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। বৃহস্পতিবার চেন্নাই থেকে ফোনে মনোজ বললেন, ‘‘ওদের নিয়ে বিশ্লেষণ, হোম ওয়ার্ক হয়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজিও ঠিক হয়েছে।’’ উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পক্ষে নয় বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে উইকেটের জন্য সেটা করতে হলে অন্য কোনও উপায় নেই।
তবে মাঠে নেমে প্রস্তুতিটা হল না বাংলার। আগের দিনই ম্যাচ থাকায় বাংলার প্রথম এগারোর ক্রিকেটাররা এ দিন নেট প্র্যাকটিস করেননি বলে জানা গেল। মনোজ এই নিয়ে বলেন, ‘‘অন্য সব প্রতিপক্ষের মতোই গুরুত্বপূর্ণ মুম্বইও। আমরা এখন ছন্দে আছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। যে ক্রিকেটটা খেলছি, খেলে যেতে হবে।’’
এই ম্যাচে জিতলে নক আউটের দিকে অনেকটা এগিয়ে যাবে বাংলা। অন্য দিকে আবার মুম্বই হারলে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে যাবে। তাই দুই দলই জেতার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে। চিপকে সাধারণত শুকনো উইকেট হয়। মুম্বই এই উইকেটেই গুজরাতকে ১৭৩ রানে অল আউট করে দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়। পরের দুটো ম্যাচে খুব কম রান ওঠে। আর দু’দিন আগেই অন্ধ্রর ২২৮ রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত তিন রানে হারে গোয়া। চারটের মধ্যে তিনটে ম্যাচেই পরে ব্যাট করা দল হেরেছে। শুক্রবার বাংলার ভাগ্যে কেমন উইকেট জোটে সেটাই দেখার। তবে সবরকম পরিস্থিতির জন্যই দল প্রস্তুত বলে দাবি মনোজের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy