Advertisement
১৫ অক্টোবর ২০২৪

#মিটু: বোর্ডের সিইওকে নিয়ে তদন্ত কমিটি

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষ্ফোরক অভিযোগের পরেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সিওএ জোহরির কাছে ব্যাখ্যা চায়। জোহরি জবাব দেওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় চেয়েছিলেন।

চাপে: রাহুল জোহরি। ফাইল চিত্র

চাপে: রাহুল জোহরি। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০৮
Share: Save:

ভারতীয় বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রাহুল জোহরির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গড়ল কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)।

#মিটু আন্দোলন শুরু হওয়ার পরেই লেখিকা হরনিধ কৌর নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলার অভিযোগ তাঁর টুইটারে তুলে ধরেছিলেন। সেই মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, নতুন চাকরি নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁকে নাকি গুরুগ্রাম নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন জোহরি। সেই সময় বোর্ডের বর্তমান সিইও-র স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। সেখানেই যৌন হেনস্থা করা হয় তাঁকে। সেই সময় অবশ্য বোর্ডের সিইও ছিলেন না জোহরি। কর্মরত ছিলেন একটি টিভি চ্যানেলে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষ্ফোরক অভিযোগের পরেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সিওএ জোহরির কাছে ব্যাখ্যা চায়। জোহরি জবাব দেওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় চেয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চান। বৃহস্পতিবার বোর্ডের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০ অক্টোবর জবাব জমা দিয়েছেন জোহরি। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

জোহরি জবাব দেওয়ার পরেই ২০ ও ২২ অক্টোবর আলোচনায় বসেছিল সিওএ। সেই বৈঠকে এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিওএ-র অন্যতম সদস্য ডায়না এডুলজি মনে করেছিলেন, এ রকম একটি অভিযোগ ওঠার পরে বোর্ডের স্বার্থে জোহরির পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু সিওএ চেয়ারম্যান মনে করেন, যেহেতু অভিযোগ এসেছে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের কাছ থেকে, তাই আগে সব খতিয়ে দেখা উচিত। তা ছাড়া যে সময়ে যৌন হেনস্থার কথা বলা হয়েছে, তা জোহরির বোর্ডের সিইও পদে যোগ দেওয়ার অনেক আগের কথা। জোহরিকে নিয়ে সিওএ চেয়ারম্যান বিনোদ রাই এবং ডায়না এডুলজির মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। এডুলজি মনে করেন, জোহরিকে সরানোর যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তিনি সিওএ চেয়ারম্যানকে আরও জানান, জোহরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়া হলে তিনি অ্যামিকাস কিউরে গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। এর পরেই আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কমিটি গড়া হয়েছে। যে কমিটিতে আছেন ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রাকেশ শর্মা। তিনি কমিটির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া কমিটির অন্য দুই সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বরখা সিংহ ও প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর পি সি শর্মাকে।

গত তিন বছর বোর্ডের সিইও পদে রয়েছেন জোহরি। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ নিয়ে বোর্ডে চর্চা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন বিহারের ক্রিকেট কর্তা আদিত্য বর্মা। তিনি দাবি করেন, বোর্ডের এক মহিলা কর্মীকেও নাকি যৌন হেনস্থা করেছিলেন জোহরি। যার জেরে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE