Advertisement
E-Paper

মহিলা ক্রিকেটে গড়াপেটা আতঙ্ক

আগামী  ২২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে মহিলাদের অ্যাসেজ সিরিজ। তার ঠিক আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিফ এগজিকিউটিভ টোনি আইরিশ জানিয়েছেন, এ বার মহিলা ক্রিকেটকে ‘টার্গেট’ করতে পারে জুয়াড়িরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০০

এ বার মহিলা ক্রিকেটেও দুর্নীতি শুরু হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হল। অনুমান করা হচ্ছে, জুয়াড়িরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে এখানেও। ইংল্যান্ডে আয়োজিত মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের সাফল্যের ঠিক পরেই এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আগামী ২২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে মহিলাদের অ্যাসেজ সিরিজ। তার ঠিক আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিফ এগজিকিউটিভ টোনি আইরিশ জানিয়েছেন, এ বার মহিলা ক্রিকেটকে ‘টার্গেট’ করতে পারে জুয়াড়িরা। তিনি বলেছেন, ‘‘মহিলা ক্রিকেট যে রকম জনপ্রিয় হচ্ছে এবং টিভি-তে স্থান পাচ্ছে, তা জুয়াড়িদের নজরে পড়তে পারে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘পুরুষ ক্রিকেটারদের যে রকম দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা দেওয়া হয়, তা মহিলা ক্রিকেটের থেকে অনেকটাই আলাদা।’’

আরও পড়ুন: কলকাতার মাটিতে বাঁশি মুখে ছেলেদের বিশ্বকাপে প্রথম মহিলা রেফারি

জুলাই মাসে লর্ডসে আয়োজিত আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড অঙ্কের বেটিং হয়েছিল বেটফেয়ার নামক একটি সংস্থায়। যা ২০১৩ ফাইনালের থেকে ৮.৫ শতাংশ বেশি। খেলার উপর একটি জনপ্রিয় পরিসংখ্যান সংস্থার থেকে জানা গিয়েছে, এ বারের ফাইনালে দেড়শোটিরও বেশি সংস্থা মহিলা ক্রিকেটের বেটিংয়ে আগ্রহী ছিল। বাজার-বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, ২০১৬-র তুলনায় মহিলা ক্রিকেটে বেটিংয়ের হার অতিরিক্ত বেড়ে ওঠার কারণে দুর্নীতির ভয়ও এখন অনেক বেশি।

ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইরিশ এ নিয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করেছেন আইসিসি-কে। ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে বিদ্রুপ করে তিনি বলেছেন, ‘‘আইসিসি-র পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটের দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা এখনও সে রকম চালু হয়নি এবং তা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে বেশ খারাপ দিন দেখতে হতে পারে ক্রিকেটপ্রেমীদের।’’

ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর ক্লেয়ার কোনর স্বীকার করেছেন যে, মহিলা ক্রিকেটে বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তাই ভয়ের কারণ। তিনি বলেছেন, ‘‘মহিলা ক্রিকেট এখন অনেক বেশি টিভি-তে দেখানো হয়। মহিলা ক্রিকেটাররা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম অর্থ উপার্জন করে। সেটাও একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।’’ কোনর আরও বলেছেন, ‘‘উপযুক্ত শিক্ষা এবং সচেতনতাই দুর্নীতি বন্ধ করার একমাত্র চাবিকাঠি।’’

এই শিক্ষার সহজ উপায় বার করেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। তারা আগামী ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম শুরু হওয়ার আগেই একটি মোবাইল ফোনের অ্যাপ আবিষ্কার করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমেই পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের দুর্নীতি-বিরোধী শিক্ষা দেবে স্টিভ স্মিথদের ক্রিকেট বোর্ড।

Women's Cricket Match Fixing Betting Cricket ICC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy