সুপার কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল অন্দরমহলে বিভাজনের আশঙ্কা।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আই লিগের আট দল সুপার কাপে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান রয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রমশ বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠছে লাল-হলুদ শিবিরে। এক দিকে ক্লাবের কর্তা, সমর্থক ও প্রাক্তন ফুটবলারেরা। অন্য দিকে বিনিয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফেডারেশনের সচিব সরাসরি চিঠি পাঠান ইস্টবেঙ্গল সভাপতিকে। লেখেন, সুপার কাপে তাঁরা খেলবেন কি না, তা ১৮ মার্চের মধ্যে জানাতে হবে। আইএসএলে খেলা নিয়ে কী ভাবছেন, তা স্পষ্ট করতে হবে ২০ মার্চের মধ্যে। এর পরেই কার্যকরী সমিতির বৈঠক ডেকেছেন লাল-হলুদ কর্তারা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধানকেও। সেই বৈঠকের রূপরেখা প্রস্তুত করতেই শনিবার সন্ধ্যায় ক্লাব তাঁবুতে আলোচনায় বসেছিলেন সুপার কাপ খেলার পক্ষে থাকা কর্তারা।
কী সিদ্ধান্ত হল এ দিনের বৈঠকে? জানা গিয়েছে, বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধান কর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে, কোনও অবস্থাতেই সুপার কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পক্ষে নয় ক্লাব। কর্তারা বলবেন, প্রতিযোগিতা থেকে নাম তুলে নেওয়া ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য নয়। আগামী মরসুমে আইএসএলেও তারা খেলবে। কিন্তু তাঁদের সিদ্ধান্ত যদি না মানা হয়? তখন কী হবে? ওয়াকিবহাল মহলের কারও কারও আশঙ্কা, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ হওয়াও অসম্ভব নয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শুধু সুপার কাপ নয়, আসন্ন মরসুমের দল গঠন নিয়েও অসন্তোষ বাড়ছে লাল-হলুদ শিবিরে। আগামী মরসুমে জবি জাস্টিন, সালামরঞ্জন সিংহ এটিকে-তে খেলবেন। অথচ ইস্টবেঙ্গলে কারা থাকবেন, তা কেউ জানেন না। অভিযোগ, কর্তাদের অন্ধকারে রেখে নতুন মরসুমের দল গঠন করছে বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy