Advertisement
E-Paper

ক্রিকেট-যুদ্ধ থামলেও বিরাট বিতর্ক থামছেই না

সিরিজ শেষে দু’দলের ক্রিকেটারেরা বাড়ি ফিরে গেলেন। তবু যুদ্ধের রেশ থেমেও থামছে না। বুধবারও ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া গোলাগুলি বর্ষণ সমানে চলেছে। আর যাবতীয় সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতেই সেই এক জনই— বিরাট কোহালি। কে বলবে ধর্মশালাতে তিনি মাঠেই নামেননি!

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০৩:৫৫
যাবতীয় সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতেই সেই এক জনই— বিরাট কোহালি।

যাবতীয় সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতেই সেই এক জনই— বিরাট কোহালি।

সিরিজ শেষে দু’দলের ক্রিকেটারেরা বাড়ি ফিরে গেলেন। তবু যুদ্ধের রেশ থেমেও থামছে না।

বুধবারও ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া গোলাগুলি বর্ষণ সমানে চলেছে। আর যাবতীয় সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতেই সেই এক জনই— বিরাট কোহালি। কে বলবে ধর্মশালাতে তিনি মাঠেই নামেননি!

বুধবার অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটারের দল এবং তাঁদের দেশের মিডিয়া জোটবদ্ধ হয়ে কোহালির প্রতি আক্রমণ আরও তীব্র করে তুলেছে। এক দিকে মার্ক টেলর, ডিন জোন্সের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা বলে দিয়েছেন, কোহালি মাঠের বাইরেও আর অস্ট্রেলীয়দের সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে না বলে দেওয়ায় তাঁরা খুব হতাশ।

আরও পড়ুন: স্লেজিং উপভোগ করেছি, বলছেন ঋদ্ধিমান

টেলর মনে করছেন, এখন ক্রিকেটারেরা একসঙ্গে অনেক বেশি খেলেন। নানা দেশে টি-টোয়েন্টি লিগ চালু হয়ে গিয়েছে। তাই প্রায়ই তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎ ঘটছে। তাই রাগ পুষে রাখার ব্যাপারে অনেক সতর্ক হতে হবে। ‘‘আমি কখনও মাঠের যুদ্ধকে মাঠের বাইরে আনিনি। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারের সঙ্গে আমি বন্ধুর মতোই মেশার চেষ্টা করেছি,’’ বলেছেন টেলর। টুইটারে ডিন জোন্স লিখেছেন, ‘বিরাট নিশ্চয়ই বুঝতে শিখবে যে, এই মহান খেলাটা শুধুই জয়-পরাজয় নিয়ে নয়। খেলতে খেলতে যে বন্ধুগুলো হয় সেটাও মহান’। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ডারেন লেম্যান-ও হতাশা প্রকাশ করেছেন কোহালির মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক যে, বিরাট এমন মন্তব্য করল কিন্তু এটা তো ওরই মন্তব্য। কী আর করা যাবে।’’ লেম্যান জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন না কোহালির মন্তব্য মানেই ভারতীয় দলের মনোভাব এ রকম। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এটা বিরাটের ব্যক্তিগত মন্তব্য। অজিঙ্ক রাহানে দারুণ ক্যাপ্টেন্সি করেছে।’’

অস্ট্রেলীয়দের এখন কার্যত সর্বসম্মত নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে এটাই। এক দিকে কোহালিকে আক্রমণ করা, অন্য দিকে রাহানের অধিনায়কত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা। স্টিভ স্মিথ থেকে শুরু করে তাঁদের কোচ লেম্যান— প্রত্যেকে এখন এই লাইন ধরেই বল করে যাচ্ছেন। লেম্যান প্রশংসা করেছেন তাঁদের অধিনায়ক স্মিথেরও। বলেছেন, ‘‘স্মিথ এখন ব্র্যাডম্যানের মতো ব্যাট করছে।’’ এর সঙ্গে কোহালি নিয়ে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের গোলাবর্ষণ চলছে। যেমন বলা হয়েছে, কোহালির সৌজন্যবোধের অভাব আছে।

ঘুরিয়ে ভারতীয় বোর্ডকে কটাক্ষ করেছেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড পিভের। স্টিভ স্মিথের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ফিরে ওরা দেখতে পাবে প্রত্যেক দেশবাসী ওদের পারফরম্যান্সে গর্বিত।’’ স্মিথের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া নিয়েও প্রশংসা করেছেন চেয়ারম্যান। ভারতীয় বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই সিরিজে শুধু ক্রিকেটারদের মধ্যেই সম্পর্ক তিক্ত হয়নি, দু’দেশের বোর্ডও জড়িয়ে পড়েছে নজিরবিহীন বিতর্কে।

স্মিথ মঙ্গলবার সিরিজ হারার পরেই অভিযোগ করেন, প্রথা ভেঙে রবীন্দ্র জাডেজা এবং ম্যাথু ওয়েডের মধ্যে বাগ্‌যুদ্ধের ভিডিওটি তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। সেই ভিডিওয় শোনা গিয়েছে, ওয়েড প্রশ্ন করছেন জাডেজাকে যে, ‘‘তুমি এত ভাল খেলো অথচ বিদেশে গেলে তোমাকে বসিয়ে দেয় কেন?’’ স্মিথও তখন বলেন, ‘‘ও একটা অপদার্থ। এটাই ওর শেষ টেস্ট।’’ স্মিথের অভিযোগের সুর তাঁদের বোর্ড প্রধানের গলাতেও।

Virat Kohli India vs Australia Test Series Controversy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy