Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

জর্ডন থেকে ফিরেই গৃহবন্দি কলকাতার বক্সিং গুরু আলি

বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। চিন্তা হচ্ছে খুব। রয়েছে পাঁচ বছরের ছেলে মোসাইয়ান। গত ১০ দিনে ওকে ধারে কাছে আসতে দিইনি।

সতর্ক: বাড়ি ফিরে কোনও ঝুঁকি নিচ্ছেন না আলি। নিজস্ব চিত্র

সতর্ক: বাড়ি ফিরে কোনও ঝুঁকি নিচ্ছেন না আলি। নিজস্ব চিত্র

 নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০৪:১৪
Share: Save:

কমনওয়েলথ গেমস থেকে বক্সিংয়ে ভারতের প্রথম সোনার পদক জয়ী তিনি। এই মুহূর্তে ভারতীয় মহিলা বক্সিং দলের কোচ সেই আলি কামার করোনা-সংক্রমণ থেকে সতর্কতা নিতে জর্ডন থেকে ফিরে কলকাতার বাড়িতে কোয়রান্টিনে রয়েছেন।

সোমবার বিকেলে ফোন করতেই কামার বললেন, ‘‘সেই ১৩ মার্চ বাড়িতে ফিরে এ ভাবেই বন্দি হয়ে রয়েছি। সামাজিক বা পারিবারিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাড়িতে তিনটি ঘর। তার একটিতেই বক্সিং ফেডারেশনের দেওয়া নির্দেশ মেনে একা থাকছি। ঘন-ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি। বার বার হাত ধুয়ে ফেলছি।’’ যোগ করছেন, ‘‘বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। চিন্তা হচ্ছে খুব। রয়েছে পাঁচ বছরের ছেলে মোসাইয়ান। গত ১০ দিনে ওকে ধারে কাছে আসতে দিইনি। আমার দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। কিন্তু তাও সতর্কতা নিয়েছি। প্রতিবেশীদেরও আসতে দিচ্ছি না।’’

বক্সিং ফেডারেশনের নির্দেশ কী ছিল? আলি বলেন, ‘‘আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে হচ্ছে। যার মধ্যে বিশেষ করে দেখতে বলা হয়েছে, জ্বর, সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা হচ্ছে কি না। শারীরিক পরিস্থিতি গ্রুপে লিখে দিলেই চলবে না, প্রত্যেককে নিজের পরিস্থিতি কেমন তা বোঝানোর জন্য ভিডিয়ো তুলে পাঠাতে হবে। আমরা তা মেনে চলছি। এখনও জাতীয় বক্সিং দলের কেউ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।’’

কেন জর্ডন থেকে কলকাতায় এলেন? দিল্লিতে জাতীয় শিবিরে থাকলেন না? আলি ব্যাখ্যা দিলেন, ‘‘টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে ২৫ জনের দল নিয়ে গিয়েছিলাম জর্ডনে। সেখান থেকে দিল্লি ফিরে আসি ১২ মার্চ।’’ মহিলা বক্সিং দলের জাতীয় কোচ যোগ করেন, ‘‘দিল্লিতে ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরে সেখানে প্রথমেই দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দু’টো ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়েছিল। যেখানে লেখা ছিল, কোনও ওষুধ চলছে কি না? গত কয়েক দিনে জ্বর বা সর্দি-কাশি হয়েছে কি না, এ সব। তার পরে চিকিৎসক দেখার পরে আমাদের বাড়িতে কোয়রান্টিন করতে বলেন।’’

আলি আরও বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ভারতের যে অবস্থা হয়েছে, তখনও পরিস্থিতি অতটা গুরুতর হয়নি। জাতীয় বক্সিং ফেডারেশন থেকেই এর পরে বলে দেওয়া হয়েছিল, চাইলে বক্সার ও কোচেরা বাড়ি ফিরে যেতে পারে। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরে ১৩ মার্চ কলকাতার বাড়িতে ফিরে কোয়রান্টিনে রয়েছি। ১৪ দিন থাকতে হবে। মেয়াদ শেষ হবে ২৭ মার্চ।’’ ১৪ দিনের ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার অভিজ্ঞতা কেমন? আলি বলেন, ‘‘টিভি দেখছি। ট্রেনিংয়ের ভিডিয়োগুলো দেখছি। পুরনো লড়াইয়ের ভিডিয়ো দেখছি। এ ভাবেই একঘেয়ে দিন কাটছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Boxing Ali Qamar Jordan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE