প্রতীকী ছবি।
প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের নিয়ে ম্যাচের আয়োজন করল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ডিফারেন্টলি এবেলড’ নামে একটি সংস্থা।
দু’দিনের খেলার সূচনা হয় শনিবার, অশোকনগর বিধানচন্দ্র রায় ক্রীড়াঙ্গনে। উদ্যোক্তাদের তরফে আমন্ত্রিত বাংলা দলের সঙ্গে দু’টি ম্যাচ খেলে ঝাড়খণ্ড রাজ্য প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল। শনিবার প্রথম দিনের খেলায় ৪১ রানে জয়লাভ করে বাংলা। দ্বিতীয় দিনের খেলায় ঝাড়খণ্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রান করে। জবাবে বাংলা দল ১৯ ওভারে ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। সুপার ওভারের মাধ্যমে সিরিজে জয়লাভ করে বাংলা। ঝাড়খণ্ডের মনীশ কুমার টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন।
সিউড়ির বাসিন্দা শ্রীদীপ জানান, তিনি অনূর্ধ্ব ষোলো বাংলা সাধারণ দলের ক্রিকেট খেলতেন। ২০১৭ সালে কলকাতায় খেলতে আসার সময়ে চন্দননগর স্টেশনে ট্রেনে তাঁর পায়ের নীচের অংশে কেটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দল থেকে ছিটকে যান। কিন্তু তিনবার অস্ত্রোপচারের পরে পা কিছুটা ঠিক হলে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। বাংলা দলের হয়ে খেলতে আসা হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা রমেশ যাদব জানান, জন্মের ছ’মাস পরে পোলিয়োয় ডান পা পঙ্গু হয়ে যায়। তবে মানসিক জেদকে পাথেয় করে দীর্ঘদিনের অধ্যবসায়ের পরে এখন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে নামডাক হয়েছে। এক পায়ে ভর দিয়ে বাঁ হাতে লাঠির সাহায্যে শরীরের ভারসাম্য রেখে স্পিন বল করেন তিনি।
পরিকাঠামো ও আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটাররা। তবে সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের তরফে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিএবি এই প্রতিবন্ধী ক্রিকেট সংস্থার খেলায় যথেষ্ট সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আয়োজক সংস্থার সভাপতি উৎপল মজুমদারের দাবি, ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে যেমন সরকারি বিভিন্ন মহলে চাকরি পাওয়া যায়, প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও সে রকম উদ্যোগ করা হোক। পাশাপাশি, সরকার প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আর্থিক সাহায্য করুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy