এক সময় ছিলেন সতীর্থ। পরে হয়েছেন বন্ধু। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব বেড়েছে। পরে মাঠের জুটি ভেঙে গেলেও বন্ধুত্ব একই রয়েছে বিরাট কোহলি ও এবি ডিভিলিয়ার্সের। চলতি মাসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএল জেতার পর সেই বন্ধুত্ব আরও এক বার দেখা গিয়েছে। অথচ এই বন্ধু ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে কয়েক মাস কথাই বলেননি কোহলি। কেন? সেই কারণ জানিয়েছেন ডিভিলিয়ার্স নিজেই।
কোহলির দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। সেই কারণে তাঁর উপর বিরক্ত হয়েছিলেন কোহলি। কয়েক মাস কথা বলেননি। চলতি বছর অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় আবার কথা শুরু হয় তাঁদের। একটি সাক্ষাৎকারে ডিভিলিয়ার্স বলেন, “বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি চলাকালীন বিরাট আবার আমাকে ফোন করে। তার পর থেকে ওর সঙ্গে যোগাযোগ আছে। মাঝে কয়েক মাস বিরাট আমার সঙ্গে কথাই বলেনি। অবশ্য দোষটা আমারই। বিরাট কিছু বলার আগেই ওর দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের কথা আমি প্রকাশ করে ফেলেছিলাম। তাতে ওর খারাপ লেগেছিল।”
গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজ় চলাকালীন বোমা ফাটান ডিভিলিয়ার্স। সেই সিরিজ়ে খেলেননি কোহলি। তখনই কোহলির দ্বিতীয় সন্তান জন্মের কথা জানিয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি বলেছিলেন, “আমি যত দূর জানি, ওদের পরিবারে সব ঠিক আছে। বিরাট পরিবারের সঙ্গে একটু বেশি সময় কাটাচ্ছে। সেই কারণেই প্রথম দুই টেস্টে ও খেলছে না। আমি ওকে মাঠে দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।” এর পরেই ডিভিলিয়ার্স বলেছিলেন, “আমি বিরাটের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখনই জানতে পারি যে অনুষ্কা দ্বিতীয় বার মা হতে চলেছে। তাই এই সময় ওর পাশে থাকা বিরাটের কর্তব্য। ক্রিকেটার হলেও পরিবার সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবাই সেটাই করে। বিরাটও করছে। এর জন্য ওর ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা নিয়ে প্রশ্ন করার কোনও মানে নেই।”
আরও পড়ুন:
তার পরেই অবশ্য নিজের কথা থেকে সরে এসেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। জানিয়েছিলেন, না জেনেই সেই মন্তব্য করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছিলেন, “আমি না জেনেই একটা কথা বলে দিয়েছিলাম। সেটা ঠিক করিনি। আমার উচিত ছিল বিরাটের সঙ্গে কথা বলা। আশা করছি বিরাটকে তাড়াতাড়ি মাঠে দেখতে পাব।”
এমনকি, কোহলির কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। একটি ইউটিউব ভিডিয়োতে ডিভিলিয়ার্স বলেছিলেন, ‘‘আমার বন্ধু বিরাট এখনও মাঠে নামতে পারছে না। আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি ওদের একা থাকতে দিন। পরিবার সবার আগে। আমি জানি না কী হয়েছে? আমি শুধু সবাইকে অনুরোধ করছি ওদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে। আমি মারাত্মক ভুল করে ফেলেছি। বিরাট ও তার পরিবারের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি।” তার পরেই হয়তো কোহলির মন গলেছিল। আবার পুরনো বন্ধুর সঙ্গে কথা শুরু হয়েছিল তাঁর। সেই সময়ের কথা এত দিনে খোলসা করলেন ডিভিলিয়ার্স।