আইপিএলের জেতার পর দিন আরসিবি পরিবারের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। সেই চিঠি প্রকাশ্যে আনলেন ৯ দিন পর। একটি বিশেষ কারণে চিঠিটি নিজের কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন ক্রিকেটার।
অহমদাবাদের সেই ফাইনাল মাঠে বসে দেখেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। বিরাট কোহলির অনুরোধে ট্রফি নিয়ে উৎসবের শরিকও হয়েছিলেন। কিন্তু পর দিন বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্টকাণ্ডের পর ওই চিঠি আর প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। ৯ দিন পর সমাজমাধ্যমের একটি ভিডিয়োয় সেই চিঠি প্রকাশ করেছেন ডিভিলিয়ার্স।
অহমদাবাদ থেকে জোহানেসবার্গে যাওয়ার পথে বিমানে সেই চিঠি লেখেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি লেখেন, “প্রিয় আরসিবি পরিবার, গত কাল রাতে যে অভিজ্ঞতা হল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবু চেষ্টা করছি, কারণ আমার হৃদয় পূর্ণ হয়ে রয়েছে। অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ঢোকার পরেই সূর্যাস্ত হয়েছিল। তবে মনে হচ্ছিল আরসিবি-র লাল রংয়ের উদয় হচ্ছিল অন্য একটা দিক থেকে। ওরা বলেছিল নিরপেক্ষ মাঠে খেলা। কিন্তু আমি যখন সেই চিৎকার শুনলাম এবং জার্সি, পতাকাগুলো দেখতে পেলাম, মুখে লাল এবং সোনালি রং আঁকা চেহারাগুলো দেখলাম, মনে হচ্ছিল ওটাই আমাদের ঘর।”
তিনি আরও লিখেছেন, “শুধু ক্রিকেট ম্যাচ নয়, স্বপ্নপূরণ হতে দেখেছি। বিশ্বাস, হৃদয়ভঙ্গ, কাছে এসেও ফস্কে যাওয়া, অলৌকিকতা এবং আমৃত্যু দায়বদ্ধতা দেখেছি, যাকে কোনও ট্রফি দিয়ে পুরস্কৃত করা যায় না। যে আরসিবি আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে, তাদের হাতে অবশেষে আইপিএল ট্রফি। কথাটা বলতে পেরেই দারুণ লাগছে।”
আরও পড়ুন:
সে দিনের ম্যাচে যা যা ঘটেছিল তা এক এক করে তুলে ধরেছেন ডিভিলিয়ার্স। লিখেছেন, “লং অফে দাঁড়িয়েছিল বিরাট, ঠিক আমার সামনে। অল্প সময়ের জন্য চোখাচোখি হয়েছিল। কোনও কথা বলিনি। তবে ওই চাউনিতেই একে অপরের মনের কথা বুঝে নিয়েছিলাম। এতগুলো বছর ধরে কাছে এসে যেগুলো ফস্কে যাচ্ছিল, সেই বোঝা কোহলির কাঁধে ছিল। আমরা জুটি বেধে অনেক ইনিংস খেলেছি, কথা বলেছি, একসঙ্গে লড়াই করেছি। তবে ম্যাচের পর ও যা যা বলল এবং যে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল, সেটা আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছে। খেলার বাইরে এই জিনিসগুলোও সারা জীবন মনে রাখার মতো।”