আবার নিশানায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। শুক্রবার বীরেন্দ্র সহবাগ দাবি করেছিলেন, ধোনির কারণে তিনি এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। অবশেষে সচিন তেন্ডুলকরের পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদলান। এ বার ধোনির দিকে আঙুল তুললেন ইরফান পঠান। ভারতের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে, ধোনির কারণে ২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি তিনি।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন ইরফান। অথচ চার বছর পর এক দিনের বিশ্বকাপের দলে তিনি সুযোগ পাননি। সম্প্রতি ‘লল্লনটপ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ইরফান। নেপথ্য কাহিনি জানান তিনি। দলে সুযোগ না পেয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেনকেও প্রশ্ন করেছিলেন তিনি।
ইরফান বলেন, “গ্যারি আমাকে বলেছিল, ‘কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমার হাতে থাকে না।’ ও ঠিক এই কথা বলেছিল। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তা হলে কার হাতে থাকে? ও জবাব দেয়নি। আমি জানতাম কার হাতে থাকে। অধিনায়ক দল নির্বাচন করে। সেই সময় ধোনি অধিনায়ক ছিল।” পাশাপাশি ইরফান এ-ও জানিয়েছেন, ধোনির অধিকার রয়েছে নিজের পছন্দমতো দল নির্বাচনের। তিনি বলেন, “সেই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না ভুল, তা নিয়ে কিছু বলব না। কারণ, প্রত্যেক অধিনায়কের অধিকার থাকে নিজের পছন্দমতো দল নির্বাচন করার। ধোনি সেটাই করেছিল।”
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর আবার ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের এক দিনের দলে খেলেছিলেন ইরফান। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের পর তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০১২ সালের অগস্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে শেষ বার এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে ধোনির অধীনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন ইরফান। কিন্তু একটা ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ২০০৩ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ২৯ টেস্ট, ১২০ এক দিনের ম্যাচ ও ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইরফান।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার সহবাগ জানিয়েছিলেন, ধোনি তাঁকে দলের বাইরে রাখায় অবসরের কথা ভেবেছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে সহবাগ বলেন, “২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সফরের পর ধোনি অনেক দিন আমাকে দলে নেয়নি। তখন মনে হয়েছিল, যদি আমি সুযোগই না পাই, তা হলে এক দিনের ক্রিকেট খেলার কোনও মানে নেই। অবসরের কথা ভেবেছিলাম।”
সচিনকে সে কথা বলেছিলেন সহবাগ। তার পরেই তাঁর সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন। সহবাগ বলেন, “আমি সচিনকে বলেছিলাম, এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেব। সচিন বলেছিল, সকলের কেরিয়ারে এমন সময় আসে। ধৈর্য ধরো। আরও একটু অপেক্ষা করো। পরের যে সিরিজ়ে সুযোগ পেয়েছিলাম, তাতে অনেক রান করেছিলাম। ফলে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের দলেও খেলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতে কেরিয়ার শেষ করেছি।”