ম্যাচ জুড়ে ছিল দুই দলের বোলারদের দাপট। ব্যাটারেরা ক্রিজ়ে টিকতে পারছিলেন না। তেমন পরিস্থিতিতেও লড়াই করলেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রেভিস হেড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দলকে ১৫৯ রানে জেতালেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হলেন হেড।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১৮০ রানের বেশি করতে পারেনি। রান পাননি কোনও ব্যাটারই। নতুন ওপেনিং জুটি ৮ রানের বেশি করতে পারেনি। ওপেনার স্যাম কনস্টাস করেন ৩ রান। অন্য ওপেনার, উসমান খোয়াজা করেন ৪৭ রান। হেড মিডল অর্ডারে নেমে করেন ৫৯ রান। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই ১০০ রানের গণ্ডি পার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ দিকে প্যাট কামিন্স ১৮ বলে ২৮ রান করায় ১৮০ রান তোলে তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন জেডন সিলস। চারটি উইকেট নেন শামার জোসেফ। তাঁদের বোলিংয়ের দাপটে চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ক্যারিবিয়ান ব্যাটারেরা সেই সুবিধা নিতে পারলেন না। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের দাপটে ব্যর্থ হন তাঁরাও।
আরও পড়ুন:
ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রস্টন চেজ (৪৪) এবং উইকেটরক্ষক শাই হোপ (৪৮) রান না করলে হয়তো প্রথম ইনিংসে লিডটাই পেত না দল। মিচেল স্টার্ক (৩), জস হেজলউড (২) এবং প্যাট কামিন্স (২) মিলে সাতটি উইকেট নেন। বাকি তিনটি উইকেট নেন নাথান লায়ন (১) এবং বিউ ওয়েবস্টার (২)।
দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়। ৬৫ রানে ৪ উইকেট চলে যায় তাদের। সেখান থেকে জুটিতে ১০২ রান তোলেন হেড (৬১) এবং ওয়েবস্টার (৬৩)। অ্যালেক্স ক্যারেও করেন ৬৫ রান। এই তিন জনের দাপটে ৩১০ রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবিয়ান পেসার জোসেফ ৫ উইকেট নিলেও তত ক্ষণে ম্যাচ প্রায় হাতের বাইরে।
জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দরকার ছিল ৩০১ রান। চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলারদের বিরুদ্ধে যা করা সহজ ছিল না। হেজলউড ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে ধস নামিয়ে দেন। কোনও ব্যাটারই সে ভাবে রান করতে পারেননি। জোসেফ ২২ বলে ৪৪ রান করে শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু তা ম্যাচ জেতানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। প্রথম টেস্টে ১৫৯ রানে হেরে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।