সাংবাদিক বৈঠকে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের এই দলের লক্ষ্য একটাই। তারা এমন কিছু করে দেখাতে চায়, যা তাদের পূর্বসূরিরা কখনও ভাবতেও পারেনি। সেই লক্ষ্যে এখনও পর্যন্ত এক ধাপ এগোতে পেরেছি। অর্ধেক কাজ এখনও বাকি।’’ যোগ করেন, ‘‘দলের প্রত্যেকে শেষ ম্যাচ জিততে মরিয়া। ইতিহাস গড়ার স্বাদ প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গিয়েছে ওরা। আরও এক বার সেই মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকতে চায় ছেলেরা।’’
ডমিঙ্গো মনে করছেন, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজানোর ফলই পেয়েছেন প্রথম টেস্টে। যে দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলতে মুশফিকুর রহিম, মোমিনুল, তাইজুল ইসলাম ও তাস্কিন আহমেদ। বাকিরা খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। যা নিয়ে ডমিঙ্গোর মন্তব্য, ‘‘তরুণরাই দলের শক্তি। দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার আগে কখনও নিউজ়িল্যান্ডের মাটিতে খেলেনি। ওদের পূর্বসূরিরা যে রকম খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরেছে, তারা সেই দিন দেখেনি। হারের যন্ত্রণা খুব একটা উপভোগ করেনি। প্রত্যেকের মধ্যে ভাল কিছু করার তাগিদ লক্ষ্য করেছি। সবার মধ্যে আলোচনা একটাই, সিরিজ় জিতে ফিরতে হবে। এ রকম মরিয়া দল বহু দিন দেখিনি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ছেলেদের মধ্যে উত্তেজনাই অন্য রকমের। কারণ ওরা খুব একটা বেশি টেস্ট খেলেনি। হারের যন্ত্রণা কতটা খারাপ হতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা অনেকের মধ্যে নেই। তাই জেতার জন্য যতটা সম্ভব নিজেদের উজাড় করে দিতে চায়।’’
নিউজ়িল্যান্ড বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। তাদের দেশেই তাদের হারানোর পরে নাকি ঘটনাটা বিশ্বাসই হচ্ছিল না ডমিঙ্গোর। ক্রিকেটারেরাও আনন্দে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ডমিঙ্গোর কথায়, ‘‘শেষ দু’দিন খুব ভাল কেটেছে। টেস্ট বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশকে তাদের মাঠে হারানোর মধ্যে একটা মজা আছে। সেই আনন্দই উপভোগ করেছে প্রত্যেকে। তাই বলে আসন্ন টেস্ট থেকে লক্ষ্য সরে যায়নি। সিরিজ় জেতাই একমাত্র লক্ষ্য এখন আমাদের।’’
কোচ জানিয়েছেন, শেষ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। সেই দিনগুলো পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে দল। ডমিঙ্গো চান ক্রাইস্টচার্চে ঘাসে ভরা উইকেটই যেন দেওয়া হয়। কারণ, তাঁদের দলেও বিশ্বমানের পেসার রয়েছেন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছিলেন ইবাদত। ভাল বল করেছেন তাস্কিন ও শোরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশ তাই কোনও ভাবেই ভয় পাচ্ছে না। কোচের কথায়, ‘‘যে কোনও রকম উইকেট দিলেই আমরা খেলে দেব। আমাদের দলে বিশ্বমানের পেসার আছে। ঘাসে ভরা পিচ দিলেও কোনও সমস্যা নেই। শুরুর দিকে যদি বিপক্ষের একটা উইকেট ফেলে দিতে পারি, আমাদের আটকানো যাবে না।’’