পাঁচ উইকেট নিয়ে দীপ্তি শর্মার হাসি। ছবি: বিসিসিআই।
প্রথম বার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টেস্ট ম্যাচে হারাল ভারতের মহিলা দল। সেই জয়ে বড় ভূমিকা নেন দীপ্তি শর্মা। বাংলার এই অলরাউন্ডার ব্যাটে, বলে বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে দেন। তাঁর দাপটেই ভারত ৩৪৭ রানে জিতে ইতিহাস গড়ল। দীপ্তি যদিও কৃতিত্ব দিলেন পিচকে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছেন দীপ্তি। সেরা ‘গেম চেঞ্জার’-এর পুরস্কারও পেয়েছেন। এ ছাড়া পেয়েছেন আরও একটি পুরস্কার। প্রত্যেকটির জন্য ১ লক্ষ টাকা করে মোট ৩ লক্ষ টাকা পেয়েছেন তিনি। সেই পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, “দারুণ লাগছে। এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা কার্যকর করতে পেরে ভাল লাগছে। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম। ব্যাট করার সময় আমরা চেষ্টা করছিলাম জুটি গড়ার। সেটা পেরেছি। বল করার সময় পিচ আমাদের খুব সাহায্য করেছে। শুধু ঠিক জায়গায় বল রাখতে হয়েছে। হরমনপ্রীত আমাকে বলেছিল সঠিক লেংথে বল করতে। আমি সেটাই করেছি। আগামী দিনেও এই সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করব।”
মহিলাদের টেস্টে ভারতীয়দের মধ্যে ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড বাংলার ঝুলন গোস্বামীর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে তিনি ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। দীপ্তির দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট। দীপ্তি বলেন, “আমি জানতাম না যে রেকর্ডের সুযোগ রয়েছে। সেটা মাথায় রেখে বল করিনি।”
ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে করেন ৬৭ রান। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে দীপ্তি ১৮ বলে ২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৯ উইকেট। তাঁর স্পিনের মায়াজালে আটকে যায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন দীপ্তি। শনিবার ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিভাগকে ভাঙেন পূজা বস্ত্রকার। তিনি চার ওভার বল করেই ৩ উইকেট তুলে নেন। দীপ্তি নেন ৪ উইকেট। শনিবার ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটে। ভারত সহজেই ম্যাচ জিতে নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy