গত বছর আইপিএলে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এ বার পঞ্জাব কিংসকে তুলেছেন প্লে-অফে। কিন্তু টেস্ট দলে কিছুতেই শিকে ছিঁড়ছে না শ্রেয়স আয়ারের। টেস্ট দল থেকে ব্রাত্যই হয়ে গেলেন শ্রেয়স? প্রধান নির্বাচকের ইঙ্গিত সে দিকেই। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন সরফরাজ় খানের বাদ পড়া নিয়েও।
আইপিএলে শ্রেয়সই প্রথম অধিনায়ক যিনি পর পর দু’বছর দু’টি আলাদা দলকে প্লে-অফে তুলেছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি যতটা সক্রিয়, লাল বলের ক্রিকেটে ততটা নয়। সেটাই শ্রেয়সের বিপক্ষে যাচ্ছে বলে ক্রিকেটমহলের মত।
ভারত ‘এ’ দলে সুযোগ পাননি। শনিবার ইংল্যান্ডগামী মূল দলেও সুযোগ পেলেন না শ্রেয়স। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর বলেছেন, “শ্রেয়স ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলেছে ঠিকই। কিন্তু এই মুহূর্তে টেস্ট দলে ওর জন্য কোনও জায়গাই নেই।”
কোথায় আটকে যাচ্ছেন শ্রেয়স? ক্রিকেটারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বক্তব্য, “ওর ব্যাটিংয়ে নতুন স্টান্স, সাহসী স্ট্রোক খেলা এবং ভয়ডরহীন দৃষ্টিভঙ্গি— পুরোটাই সাদা বলের ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই। তবে লাল বলের ক্রিকেটে এমন কিছু করতে পারেনি যাতে নির্বাচকেরা সন্তুষ্ট হতে পারেন।”
শ্রেয়সের লাল বলের পারফরম্যান্স নিয়ে না হয় সন্দেহ রয়েছে। তা হলে সরফরাজ় খান বাদ কেন? আগরকর বলেছেন, “কিছু কিছু সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। আমি জানি সরফরাজ় প্রথম টেস্টে (নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে) শতরান করেছে। কিন্তু তার পর থেকে রান পায়নি। দল পরিচালন সমিতিকে মাঝেমাঝে এমন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। তা ছাড়া ১৮ জনের দল বেছে নিতে হলে কাউকে না কাউকে তো বাদ দিতেই হবে।”
আরও পড়ুন:
আগরকরের সংযোজন, “করুণ ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছে। অতীতে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে। কাউন্টিতেও কিছুটা খেলেছে। বিরাট না থাকায় আমাদের দলে যে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে সেটা পরিষ্কার। আমাদের মনে হয়েছে করুণের অভিজ্ঞতা সাহায্য করবে।