আইপিএল ফাইনালের দিন বৃষ্টিতে নাকি ভেসে যাওয়ার কথা ছিল কলকাতার। দিন ১৫ আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। ফাইনাল ভেস্তে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনাল ইডেন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অহমদাবাদে। গত রবিবার প্রথম কোয়ালিফায়ারের দিনই বোর্ড কর্তাদের আত্মবিশ্বাস বৃষ্টির জলে ভেসে গিয়েছে। সে দিন কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি। মঙ্গলবার ফাইনালের দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমি বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, মঙ্গলবার কলকাতায় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। গরম এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই কলকাতায় কাঠফাটা রোদ। অন্য দিকে, দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার অহমদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দিনই সেখানকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। অর্থাৎ, ফাইনাল বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। এ দিন দুপুরেও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে অহমদাবাদে।
বিসিসিআই কলকাতা থেকে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়ার পরই রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এ দিন আরও এক বার সেই কথাই শোনা গেল তাঁর মুখে। বললেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে। শুধু তাই নয়, সেই বঞ্চনার পাশাপাশি আইপিএলের বড় ম্যাচ নিয়েও রাজনীতি করে বাংলা তথা কলকাতাকে বঞ্চিত করল। কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।’’ আগের দিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিসিসিআই আমেরিকার আবহবিদদের কথা বিশ্বাস করে ভারতীয় আবহবিদ ও বিজ্ঞানীদের অপমান করেছে।”
বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ছিল বাংলার ক্রিকেট সংস্থা এবং ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের দিন অহমদাবাদের বৃষ্টি সেই ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দেয়। খেলা শুরু করতে রাত ৯.৪৫ মিনিট বেজে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি বিবৃতি দিতে হয় বিসিসিআইকে। বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল সোমবার বলেছেন, “আইপিএলের মাঠ বদলানোর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। আইপিএল এক সপ্তাহ বন্ধ না থাকলে প্রথম সূচি অনুযায়ীই ম্যাচ হত। তখন ফাইনাল কলকাতায় এবং বাকি দুটো প্লে-অফ হায়দরাবাদে হত। সূচি বদলে যাওয়ার পর আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। সম্প্রচারকারী চ্যানেলও চাইছিল মাঠ বদলাতে।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, দিন ১৫ আগে বিসিসিআই কর্তাদের ‘আশঙ্কা’ নিয়ে। ঠিক কোন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা ইডেন গার্ডেন্স এবং বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের বঞ্চিত করলেন?