আগামী লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে প্রতিযোগিতা। পুরুষ এবং মহিলা বিভাগে ছ’টি করে দল অংশগ্রহণ করবে ২২ গজের লড়াইয়ে। টেস্ট খেলার স্বীকৃতি রয়েছে ১২টি দেশের। অর্থাৎ ক্রিকেটের সেরা সব দেশ জায়গা পাবে না অলিম্পিক্সে। তাই জস বাটলার, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকসদের ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা নিশ্চিত নয়। তবে তাঁরা খেলতে পারেন অন্য একটি দলের হয়ে।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে যৌথ ভাবে ক্রিকেট দল তৈরির ভাবনায় স্কটল্যান্ড। অলিম্পিক্সে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস বা নর্দান আয়ারল্যান্ড আলাদা আলাদা দেশ হিসাবে খেলে না। এক সঙ্গে গ্রেট ব্রিটেন হিসাবে অংশগ্রহণ করে। সে দিক থেকে স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তাদের ভাবনায় নতুনত্ব নেই। দলগত শক্তির নিরিখে স্কটল্যান্ডের পক্ষে অলিম্পিক্স খেলার ছাড়পত্র পাওয়া কঠিন। প্রথম সারির সব দেশই খেলার সুযোগ পাবে না। তাই খুব একটা আশা করছেনও না স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা। অনেকটা সে কারণেও সম্মিলিত ব্রিটেন দল তৈরির ব্যাপারে আগ্রহী তাঁরা। সে ক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডের কয়েক জন ক্রিকেটার অলিম্পিক্স খেলার সুযোগ পেতে পারেন। ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের সিইও ট্রুডি লিন্ডব্লেড বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। আমরা আলোচনা শুরু করেছি। অলিম্পিক্সের জন্য সম্মিলিত গ্রেট ব্রিটেন দল তৈরি করা নিয়ে কথা হচ্ছে।’’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ক্রমতালিকা অনুযায়ী অলিম্পিক্সের যোগ্যতা মান নির্ধারিত হলে, স্কটল্যান্ডের খেলার সম্ভাবনা নেই। পুরুষ এবং মহিলা দু’বিভাগেই খেলতে পারে ইংল্যান্ড। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রমতালিকায় ইংল্যান্ড রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। মহিলাদের ক্রমতালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে তারা। স্কটল্যান্ড কোনও ক্রমতালিকাতেই প্রথম ১০ দলের মধ্যে নেই। তবু আশাবাদী লিন্ডব্লেড। তিনি বলেছেন, ‘‘সম্মিলিত ব্রিটিশ ক্রিকেট দল তৈরির জন্য ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্মতি প্রয়োজন। মাত্র ছ’টা দল খেলার সুযোগ পাবে অলিম্পিক্সে। ব্রিটেন দল তৈরি করা গেলে দুটো দেশ খেলার সুযোগ পেয়ে যাবে। ব্যাপারটা বেশ মজার।’’
পুরুষদের ফুটবল ছাড়া অলিম্পিক্সে সব ইভেন্টে গ্রেট ব্রিটেন হিসাবে অংশগ্রহণ করে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড। তিন দেশের সম্মিলিত দল প্রতিনিধিত্ব করে। পুরুষদের ফুটবলে আবার আলাদা ভাবে প্রতিনিধিত্ব করে। তবে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে যৌথ গ্রেট ব্রিটেন দল অংশগ্রহণ করেছিল। ২০২৮ সালের গেমসেও পুরুষদের ফুটবলে যৌথ দলকে দেখা যেতে পারে। স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা তাই আশাবাদী। লিন্ডব্লেডের আশা, যৌথ দল গঠনের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। ক্রিকেটের স্বার্থে আইসিসির অনুমতিও পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি। ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘‘ইসিবি ছাড়াও আমরা লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্স কমিটি এবং আইসিসি কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করেছি।’’
আরও পড়ুন:
১৯০০ সালের অলিম্পিক্সে ক্রিকেট হয়েছিল। সে বার চারটি দলের খেলার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নেন নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়াম। তাই অংশগ্রহণ করেছিল শুধু ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স। তার পর আর কখনও অলিম্পিক্সে ক্রিকেট হয়নি।