দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডকে ৬৫ রানে হারাল ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে হ্যারি ব্রুকেরা করেন ৪ উইকেটে ২৩৬ রান। জবাবে ১৮ ওভারে ১৭১ রানে শেষ হয়ে যায় মিচেল স্যান্টনারদের ইনিংস। বৃষ্টির জন্য প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় তিন ম্যাচের সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন স্যান্টনার। ক্রাইস্টচার্চের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগান ব্রুকেরা। ইংল্যান্ডের ব্যাটারেরা প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করলেও তাঁদের শুরুটা খুব ভাল হয়নি। তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান জস বাটলার (৮) এবং জ্যাকব বেথেল (১২ বলে ২৪)। ৬৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ইনিংসের রং বদলে দেন ফিল সল্ট এবং ব্রুক। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ৬৮ বলে ১২৯ রান। সল্ট করেন ৫৬ বলে ৮৫ রান। মারেন ১১টি চার এবং ১টি ছয়। আরও বেশি আগ্রাসী ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ব্রুকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংস। ৬টি চার এবং ৫টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। নিউ জ়িল্যান্ডের বোলারদের নিয়ে একরকম ছেলেখেলা করেছেন তিনি। শেষ দিকে স্যাম কারেন (৩ বলে ৮) এবং টম ব্যান্টন (১২ বলে ২৯) দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন। ৪৭ রানে ২ উইকেট কাইল জেমিসনের।
জয়ের জন্য ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রত্যাশিত জুটি তৈরি করতে পারেননি নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারেরা। ওপেনার টিম সেইফার্ট (২৯ বলে ৩৯) ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি। টিম রবিনসন (৭), রাচিন রবীন্দ্র (৮), ডারিল মিচেল (৯), মাইকেল ব্রেসওয়েলেরা (২) দলকে ভরসা দিতে পারেননি। তার মধ্যেই কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন মার্ক চ্যাপম্যান (২৪ বলে ২৮), স্যান্টনারেরা (১৫ বলে ৩৬)। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়া করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয় ১৮ ওভারেই শেষ হয়ে যায় আয়োজকদের ইনিংস।
মূলত আদিল রশিদের বল সামলাতে সমস্যায় পড়েন কিউয়ি ব্যাটারেরা। ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার রশিদই। তিনি ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন লুক উড, ব্রাইডন কার্স এবং লিয়াম ডসন।