প্রথমে ধবন, পরে তাঁকে বদলে অধিনায়ক রাহুল। এই ঘটনা নিয়েই বিতর্ক। ফাইল চিত্র
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজের জন্য প্রথমে ভারতীয় দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল শিখর ধবনকে। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও এক দিনের দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু জিম্বাবোয়ে সিরিজের জন্য দল উড়ে যাওয়ার কয়েক দিন আগে হঠাৎ লোকেশ রাহুলকে অধিনায়ক করা হয়। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান ধবন। এ ভাবে বার বার অধিনায়ক বদল করায় চটেছেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক সাবা করিম। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত ধবনকে মানসিক ভাবে ধাক্কা দিতে পারে। সেটা কখনওই কাম্য নয়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও নির্বাচকদের একহাত নিয়েছেন সাবা। তাঁর মতে, দলের এক জন সাধারণ সদস্য হিসাবে জিম্বাবোয়ে সিরিজে পাঠানো যেতে পারত রাহুলকে। সাবা বলেছেন, ‘‘রাহুল সুস্থ হওয়ায় ওকে দলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওকে অধিনায়ক করার কী দরকার ছিল। এক জন সাধারণ সদস্য হয়েই ও যেতে পারত। সাদা বলের ক্রিকেটে ধবন দেশের জন্য অনেক কিছু করেছে। ওকে অধিনায়ক ঘোষণা করার পরে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে ও মানসিক ভাবে আঘাত পেতে পারে। ওর খেলায় প্রভাব পড়তে পারে।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ধবনের নেতৃত্বে ৩-০ ব্যবধানে এক দিনের সিরিজ জিতেছে ভারত। ধবনের অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছেন সাবা। তিনি বলেছেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ধবন ভাল অধিনায়কত্ব করেছে। দুটো অর্ধশতরানও করেছে। জিম্বাবোয়ে সিরিজের জন্যও নিশ্চয়ই ও পরিকল্পনা করে রেখেছিল। ওর উপর ভরসা রাখলেই নির্বাচকরা ভাল করত।’’
বার বার অধিনায়ক বদল করলে দলের একতার উপরেও তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন সাবা। তাঁর মতে, বিসিসিআইয়ের উচিত অনেক ভাবনা-চিন্তা করে তার পরে অধিনায়ক বদল করা। সাবা বলেছেন, ‘‘একটা দল তৈরি করতে অনেক দিন সময় লাগে। অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। দলের বাকিরা তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাই বার বার অধিনায়ক বদল করা উচিত নয়। এতে দলেরই ক্ষতি হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy