দেশের মাটিতে আবার চুনকাম হয়েছে ভারত। বুধবার গুয়াহাটিতে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। এই হার মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকেরাও। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর গৌতম গম্ভীরকে বিদ্রুপ করেছেন তাঁরা। দেশের সমর্থকদের কাছেই ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি শুনতে হয়েছে গম্ভীরকে। কোচের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন মহম্মদ সিরাজ এবং ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক।
বুধবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফেরা। তখনই বর্ষাপারা স্টেডিয়ামের দর্শকাসনের একটি অংশ থেকে ‘গৌতম গম্ভীর হায় হায়’ এবং ‘গম্ভীর গো ব্যাক’ ধ্বনি ওঠে। ভারতের কোচ দাঁড়িয়েছিলেন খুব কাছেই। ফলে সেই আওয়াজ তাঁর কানেও পৌঁছচ্ছিল। ভারতের অনেক ক্রিকেটারও আওয়াজ শুনে দর্শকাসনের দিকে তাকিয়েছিলেন।
তখনই মাঠ থেকে দর্শকদের উদ্দেশে ঠোঁটে আঙুল ঠেকিয়ে তাঁদের চুপ করতে বলেন সিরাজ। একাধিক বার এই কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে। হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে গলার স্বর নামানোরও অনুরোধ করেন। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়েছিলেন সীতাংশু। তিনি বলেন, “যে লোকটা ভারতের হয়ে এত কথা বলে তাকেই তোমরা হায় হায় বলছ?”
কলকাতায় ঘূর্ণি পিচ বানানোর কারণে ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল আড়াই দিনেই। গুয়াহাটিতে ম্যাচ পাঁচ দিন গড়ালেও ফলাফল একই রয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও চুনকাম হওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকেরা। ফলে ঘরের মাঠে কোনও দিন যে দৃশ্য কল্পনা করতে পারেননি গম্ভীর, সেটাই দেখতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন:
যদিও বোর্ড রয়েছে গম্ভীরের পাশেই। ‘এনডিটিভি’-কে বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “এখনই গম্ভীরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি না। ও একটা দল তৈরি করছে। ২০২৭-এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের পর গম্ভীর এবং নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক হবে বোর্ডকর্তাদের। সেখানেই গম্ভীরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, দলের এই রূপান্তরের (ট্রানজ়িশন) সময়টাকে কী ভাবে দেখছে ও।”