চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও শান্তি নেই ভারতীয় শিবিরে। বারুদের স্তুপের উপর রয়েছে ভারতীয় দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে গৌতম গম্ভীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ভাল ভাবে নেননি জাতীয় নির্বাচকেরা। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের সঙ্গে বিবাদেও জড়ান কোচ গম্ভীর। দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
গম্ভীরের সঙ্গে আগরকরের বিবাদের অন্যতম প্রধান চরিত্র ঋষভ পন্থ। দল নির্বাচনের সময় পন্থকে এক নম্বর উইকেটরক্ষক হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন আগরকর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অথচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে পন্থকে একটি ম্যাচও খেলাননি গম্ভীর। সিরিজ়ের পর পরিষ্কার করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, লোকেশ রাহুলকেই প্রথম উইকেটরক্ষক হিসাবে দেখছেন। দু’জন উইকেটরক্ষককে এক সঙ্গে খেলানোর সম্ভাবনা কম বলেও জানান।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গম্ভীর-আগরকর বিবাদ হয়েছিল ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম ম্যাচের আগেই। সেই ম্যাচে যশস্বী জয়সওয়ালকে খেলানোর জন্য গম্ভীর ভারতের নিয়মিত ওপেনিং জুটি ভেঙে দেন। শুভমন গিলকে পাঠান তিন নম্বরে। প্রথম একাদশে রাখতে চাননি শ্রেয়স আয়ারকে। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলির চোট শ্রেয়সকে সুযোগ করে দেয় খেলার। গম্ভীরের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি আগরকর। রাহুলকে ছ’নম্বরে ব্যাট করানোও পছন্দ হয়নি তাঁর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আগে এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের নিয়মিত এবং পরীক্ষিত ব্যাটিং অর্ডার নষ্ট হওয়ায় বিরক্ত হন আগরকর। তা নিয়ে ভারতীয় দলের সাজঘর নাকি উত্তপ্তও হয়েছিল।
সূত্রের খবর, আগরকরের প্রথম বক্তব্য ছিল অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক্ষতি করতে পারে দলের। দ্বিতীয় যুক্তি ছিল, ক্রিকেটীয় দক্ষতায় দু’জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটারই প্রথম একাদশে থাকার যোগ্য হলে কেন তাদের খেলানো হবে না? গম্ভীর তাঁর বক্তব্য মানতে রাজি হননি। নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে এক দিনের সিরিজ়ে জেতায় গম্ভীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়েনি। তবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফল খারাপ হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে জবাবদিহি করতে হতে পারে গম্ভীরকে।
আরও পড়ুন:
নিউ জ়িল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজ়ে হারের পর থেকে চাপে রয়েছেন গম্ভীর। অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পরই ভারতীয় দলের কোচকে বার্তা দিয়ে রেখেছেন বোর্ড কর্তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাশিত ফল না হলে চাকরি যেতে পারে তাঁর। অস্ট্রেলিয়া সফরে শুরু হওয়া ভারতীয় শিবিরের অশান্তি এখনও অব্যাহত।